ভারতের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের নাম করে কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সঙ্গে কয়েক লাখ টাকার প্রতারণা করেছে একটি সংস্থা। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মুম্বাইয়ের হিট মেকার্স প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে উপ দূতাবাসের চুক্তি হয়। ওই কোম্পানি শ্রেয়ার অনুষ্ঠানের জন্য উপদূতাবাস থেকে আট লাখ টাকা অগ্রিম নেয়। টাকা প্রাপ্তি স্বীকার করে শ্রেয়া ঘোষাল নামের ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে ধন্যবাদও জানানো হয়।
হিট মেকার্সের ডিরেক্টর কৃষ্ণকুমার শর্মার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠানো হয়েছিল।
ওই কোম্পানির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পাঁচ তারকা হোটেলে শ্রেয়ার জন্য দুটি রুম বুক করে রাখতে বলা হয়েছিল বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুষ্ঠানের দিন এগিয়ে আসতে ওই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বাংলাদেশ উপদূতাবাস। কিন্তু কোনভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর কলকাতার প্রতারণা দমন শাখায় লিখিত অভিযোগ করে উপদূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাস জানিয়েছে, ঈদের ছুটির পর এই ঘটনা সম্পর্কে জানানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হিট মেকার্সের সঙ্গে উপদূতাবাসের যোগাযোগ হয়েছিল কলকাতার সঙ্গীত শিল্পী চিরন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে। তাকে লালবাজারে ডেকে গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
তিনি জানান, হাওড়ার প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ওরফে প্রিন্স নামে এক যুবক অভিযুক্ত কোম্পানির সঙ্গে তার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল। প্রিন্স নিজেকে হিট মেকার্সের এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছিল।
চিরন্তন অ্যালবাম প্রকাশ করার জন্য হিট মেকার্সের ডিরেক্টর কৃষ্ণ শর্মাকে কুড়ি লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানান। কিন্তু তার নিজের অ্যালবামের কাজ শুরুর আগে উপদূতাবাসের সঙ্গে জালিয়াতি ধরা পড়ে। এর পর থেকে প্রিন্সেরও খোঁজ নেই।
যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন চিরন্তন। কিন্তু তদন্ত বেশিদূর না এগোনোতে বাধ্য হয়ে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেছেন।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে ওঠে মামলা। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে আগামী দুই মাসের মধ্যে কলকাতার গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।