কোয়ার্টার ফাইনালেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিলো কোন দুই দল খেলবে ফাইনালে। তাও শঙ্কা ছিলো ক্রোয়েশিয়াকে নিয়ে। কিন্তু প্রথম সেমিফাইনালে মেসি ম্যাজিকে ক্রোয়েশিয়ান বাধা ডিঙ্গিয়ে ফাইনালে নাম লিখে ফেলে আর্জেন্টিনা।
মরক্কোকে নিয়ে খুব একটা শঙ্কা ছিল না ফ্রান্সের। ইতিহাস গড়ে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল খেলেছে তারা। স্বপ্নপূরণ আগেই হয়ে গেছে। বাকিটা ছিল শুধু বোনাস। ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার চেষ্টা তাদের ছিলো। তবে ফ্রান্সকে বিপদে ফেলার মত সেটা যথেষ্ট ছিল না।
তবুও মরক্কো হিসেবে সেমিফাইনালটা একেবারে পানসে হয়ে যায়নি। অসাধারণ লড়াই করেছে মরক্কানরা। প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ফিনিশিংটা তাদের হয়নি। মূলত ফ্রান্সের সলিড ডিফেন্সের কারণেই অসংখ্য সুযোগ, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে তৈরি করেও গোল আদায় করতে পারেনি মরক্কো।
উল্টো থিও হার্নান্দেজ এবং র্যান্ডাল কোলো মুয়ানির গোলে ২-০ ব্যবধানে মরক্কোকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেলো ফ্রান্স।
আগেই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে বসে আছে মেসির আর্জেন্টিনা। এবার ফাইনালে উঠলো এমবাপের ফ্রান্স। পিএসজিতে খেরা দুই সতীর্থের মধ্যেই হবে বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লড়াই।
গত বিশ্বকাপের (২০১৮) দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিলো আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে ফ্রান্স জিতেছিলো ৪-৩ গোলে। এমবাপে করেছিলেন ২ গোল। এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে কী হবে? জানা যাবে ১৮ ডিসেম্বর, লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফাইনাল শুরুর পর।