শিগগিরই আফগানিস্তান মুসলিম আমিরশাহির ঘোষণা হবে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে। সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন এক তালিবান নেতা।
এর আগে আফগানিস্তানের তালেবান কমান্ডাররা জানিয়েছেন, তারা দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। রবিবার (১৫ আগস্ট) একথা জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে এখনো ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়নি।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইন্টেরিয়র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। তবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বলেছে, নিরাপত্তার কারণে আশরাফ গনির চলাচল সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করা তালেবানের একজন প্রতিনিধি আগে জানিয়েছিলেন, দলটি ঘানির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির পদত্যাগের পরই আফগানিস্তানে কার্যত তালিবান রাজত্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দেশ ছেড়েছেন গনিও। সেই সঙ্গে আফগানিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে এসেছেন সে দেশের বেশ কয়েক জন সাংসদ ও সরকারি আধিকারিক।
অন্যদিকে আফগানিস্তানের শান্তি পরিষদের প্রধান এবং দেশটির শীর্ষ রাজনীতিক অবদুল্লা আবদুল্লা আশরাফ গানির দেশ ত্যাগের কথা নিশ্চিত করেছেন।
তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় আপোষ বিষয়ক এই উচ্চ পর্যায়ের শান্তি কাউন্সিল গঠন করা হয়। মি. আবদুল্লা, আশরাফ গানিকে ”সাবেক প্রেসিডেন্ট” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন তিনি “দেশকে এই পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে চলে গেছেন”।
“সৃষ্টিকর্তার কাছে মি. গানি দায়বদ্ধ থাকবেন এবং জাতি তার বিচার করবে,” ফেসবুকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন আবদুল্লা আবদুল্লা।