খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ কার্তিক, ১৪৩১ | ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দ্রুতই সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় স্থায়ীভাবে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
  খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফের ৩ কর্মী নিহত
  খুলনার রূপসায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে বোমা, অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্য আটক
  নড়াইলের তুলারামপুরে গরু চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
  চট্টগ্রামে জুস কারখানায় আগুন, এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ এনেছে ফায়ার সার্ভিস

শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের মৃত্যু নিয়ে যা বললেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।

গত কয়েকদিনে জাতীয় দৈনিক, অনলাইন ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ‘আত্মহত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায়’ প্রকাশিত ওই সব সংবাদে বলা হয়েছে-

‘২০১৮ সালে কুয়েটে ভর্তির পর থেকে থাকা-খাওয়ার জন্য রশীদ হলে ১৮ হাজারের বেশি টাকা বকেয়া পড়ায় অন্তু নন বোর্ডার হয়ে যায়। তাছাড়া সে সেন্ট্রাল ভাইভাও দিতে পারেনি।’ কয়েকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই সংবাদে আরও বলা হয়-‘সামান্য টাকার জন্য কেন অন্তুদের হলে নাম কাটা যাবে, কেনো ভাইভা দিতে পারে না। কুয়েট কেনো খোঁজ নিলো না।’

সংবাদপত্রে প্রকাশিত এসব মিথ্যা তথ্যে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম. এ. রশীদ হলে অন্তু রায়ের ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত হল ভর্তি ও সিট বরাদ্দ বাবদ বকেয়া ছিল ৬ হাজার ৬৫৫ টাকা। অন্তু কখনও হলে ডাইনিং ব্যবহার করেনি। ফলে তার খাওয়া বাবদ কোন বকেয়া নেই এবং এজন্য তাকে ‘নন বোর্ডার’ করার কোন বিষয় নেই। হলের পক্ষ থেকেও টাকা পরিশোধের জন্য তাকে কোনভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। বরং তার পারিবারিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুতই তাকে হলে থাকার ব্যবস্থাও করেছিলেন।

এছাড়া হলের বকেয়া টাকার সাথে সেন্ট্রাল ভাইভার কোন সম্পর্ক নেই। অন্তু রায় দ্বিতীয় বর্ষে সকল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সেন্ট্রাল ভাইভাতে অংশ নেয়নি এবং এর কোন কারণও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। মূলত: একটি পক্ষ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে কৌশলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।

এদিকে অন্তু রায়ের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কুয়েট এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলরের নির্দেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আব্দুল হাসিব, সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. ইসমাইল সাইফুল্লাহ তার বাড়িতে ছুটে যান এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন। একই সাথে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ারও ব্যবস্থা করেন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অতএব, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে এ ধরনের বিভ্রান্তকর বক্তব্য থেকে সকলকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!