প্রকৃতি ও মানব একে অপরের সঙ্গী। একটি ছাড়া অন্যটি যেনো অসহায়। সাধারণত প্রকৃতির অফুরন্ত সৌন্দর্য মানবমনের অফুরন্ত সৌন্দর্যের উৎস। বলা হয়ে থাকে, সময় যেমন তার আপন গতিতে চলে, তেমনি প্রকৃতি তার নিজের গতিতে চলে। শীত যায় হেমন্ত আসে, গ্রীষ্ম যায় বর্ষা আসে, এভাবে নানা বৈচিত্র্যে আমাদের মাঝে হাজির হয় প্রকৃতি।
এমনিভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ একর ভোরে উঠেছে প্রকৃতির আপন সাজে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। যার ফলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণা নাই, ক্যাম্পাস থেকে এক প্রকার মানব বিয়োগ হয়েছে বললেই চলে। আর এই মানব বিয়োগকে যেনো ক্যাম্পাসকে উৎসাহিত করেছে সৌন্দর্যের সাজে সজ্জিত করতে।
শিক্ষার্থীরা যে ক্যাম্পাসকে মরুভূমি ক্যাম্পাস বলে ডাকতে পছন্দ করে সেই ক্যাম্পাস যেন প্রকৃতির আশীর্বাদে সবুজে সজ্জিত হয়েছে। রাধাচূড়া ফুল,গোলাপি জবা,বউ চূড়া,কাগজ ফুল, সাদা গোলাপ, লাল গোলাপ সহ হাজারও ফুলের সমারোহ সেজেছে ক্যাম্পাসে। এছাড়াও বিভিন্ন ফলের মধ্যে রয়েছে আম,জামরুল,পেঁয়ারা, করমচা ইত্যাদি। ছোট ছোট বালুময় মাঠগুলো ঘাস ও কাশবনে হয়েছে একাকার। এক অপরুপ সাজে সজ্জিত হয়েছে এই ছোট্ট ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের এমন সৌন্দর্য দেখে কবি কথা মনে পড়ে,,
“ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি
বনের পথে যেতে
ফুলের গন্ধে চমক লেগে
উঠেছে মন মেতে
ছড়িয়ে আছে আনন্দেরই দান
বিস্ময়ে তাই জাগে
জাগে আমার গান”
কিন্তুু কোথায় যেন শূন্যতা থেকে গেছে, এই শূন্যতা পুরণের অপেক্ষায় রয়েছে প্রকৃতি। সুন্দর সবুজ ক্যাম্পাস হাতছানি দিয়ে ডাকছে শিক্ষার্থীদের। বলছে তোমরা এসো, তোমাদের পদচারণে আমাকে ধন্য করো। আমার বুকে বসে চায়ের আড্ডা দাও,সারাদিনের ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে কিছু সময়ে মেতে উঠো গানের আড্ডায়, গল্পের আড্ডায়।
প্রকৃতির অপেক্ষার অবসান হবে, শিক্ষার্থীদের অপেক্ষার অবসান হবে। প্রকৃতি ও শিক্ষার্থী দুয়ের বন্ধনে ৫৫ একর হয়ে উঠবে উৎসব মুখর। ৫৫ একরের প্রতিটি জায়গায় শিক্ষার্থীদের উৎসব মুখর পরিবেশে ভোরে যাবে। এমনই আশায় দিন কাটছে একজন নয়, দু’জন নয়, ১২ হাজার শিক্ষার্থীর।
( শিক্ষার্থীঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় )
খুলনা গেজেট/কেএম