শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হাজী নজির হোসেন সাহেব আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর নিজ বাস ভবনে বার্ধ্যকজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১১৫ বছর। তিনি ৭ পুত্র সন্তান ও ৫ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণীজন শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
হাজী নজীর হোসেন চকলেট নানা নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি সালামই হিসাবে ছোট কিশোর-কিশোরীদের চকলেট দিতেন। তিনি জীবননগর উপজেলায় স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ,হাসপাতাল,কমিউনিটি ক্লিনিক, কবরস্থান স্হাপন, আখ সেন্টার স্হাপনসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে সহযোগিতা করেছন।তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
আজীবন মুক্তমনা ও প্রগতিশীল ধারার বাহক হাজী নজীর হোসেনকে হারিয়ে জীবননগর মনোহরপুরবাসী একজন জনদরদী অভিভাবক হারালো। তিনি নিরবে নিভৃতে জনসেবা করতে খুবই ভালবাসতেন। তার জানাযায় শত শত মানুষের ঢল নামে। মাগরিবের পর জানাযা শেষে মনোহরপুর দক্ষিণ পাড়া কবরস্থানে তার দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।
হাজী নজীর হোসেনের জানাযায় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপধাক্ষ্য নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম ঈশা, মনোহর পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন, কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বাসার শিবলু, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন, চেয়ারম্যান শাহাজান,জামাত ইসলামের চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন,জীবননগর প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আকিমুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জামাত ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।
হাজী নজীর হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ বিএনপি জামাত ইসলাম,জীবননগর প্রেসক্লাব,সাংবাদিক সমিতি,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এফএসডিওসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।