খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

শিক্ষক নিয়োগে নিরসন হলো বয়সের জটিলতা

গে‌জেট ডেস্ক

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ বিদ্যমান কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৈঠকে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তির জটিলতা নিরসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব পদে কেউ যোগদান করেনি সেসব পদে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রোববার (১৭ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এমপিও নীতিমালায় সব বিভাগে সমন্বয় করা হবে। যে কোনো বিভাগে ইনডেক্সধারী হলে সে অন্য বিভাগে গেলে নতুন করে এমপিও করতে হবে না।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর এ বৈঠক শুরু হয়।

জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারিতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ স্কুলে যোগদান করার পর ফেব্রুয়ারি মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়।

কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর।

এতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েও সাত হাজার শিক্ষকের এমপিও নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। চার মাস ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন।

এর আগে নতুন শিক্ষকরা কবে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন সে বিষয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর সভা করে এর আগ পর্যন্ত এনটিআরসিএ-এর সব সমস্যা নিরসন করেছিলাম। এখন আবার কিছু নতুন ইস্যু এসেছে। আমরা সেগুলো দেখছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের এমপিও নীতিমালায় বয়সের যে কাঠামো দেওয়া আছে, সেটার সঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা চাকরি পেয়েছেন, তা মিলছে না। তবে যেহেতু আদালতের নির্দেশনা আছে, আমরা সেই নির্দেশনার মধ্যে তাদের নিয়ে আসব। অনেকের আবার কাগজপত্রেও সমস্যা থাকে। কাজেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে তো দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বিষয়গুলোর সমাধান করব।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!