মাগুরার শালিখা উপজেলার ছান্দরা গ্রামে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অচেতন গৃহবধূকে প্রথমে শালিখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভিকটিমের বোন জানান, তার বোনের শ্বশুর বাড়ির পাশেই একেন মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমান মুদি ব্যবসা করে। তার বোনের স্বামী চার বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। তিনি বিদেশ যাবার পর থেকেই হাফিজুর তার বোনকে কু প্রস্তাব দিতো। রাতদিন সবসময় মুদি দোকানের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে তিনি বাড়িতে হাজির হতেন। বেশ কয়েকবার হাফিজুরকে নিষেধ করা হলেও তিনি শুনতেন না। স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্রের সাথে হাফিজুরের আতাঁত থাকায় বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকিও দিতেন। তবুও সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করতেন তার বোন।
সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বোনের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে হাফিজুর আচমকা ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় বধূ চিৎকার দিলে তাকে মারপিট করা হয়। শেষমেষ মাথায় আঘাত করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন আসলে হাফিজুর পালানোর চেষ্টা করে। পরে একই এলাকার মৃত খালেক মোল্যার ছেলে মুক্তার, আক্তার ও হাসানকে ডেকে আনে। এরপর তারা সবাই মিলে তার বোনকে মারপিট শুরু করে। চলে যাওয়ার সময় বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। পরে তার বোনকে উদ্ধার করে শালিখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৫ জানুয়ারি যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
যশোর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ডি. দাস জানান, গৃহবধূকে মাথায় প্রচন্ড আঘাত করা হয়েছে। মাঝে মাঝেই তিনি বমি করছেন, ওষুধ চলছে। তার মাথায় সিটিস্ক্যান করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফিজুরের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে আরেক অভিযুক্ত মুক্তার বলেন, তিনি নিজে হাসপাতালে গিয়ে ওই গৃহবধূকে দেখে এসেছেন। তাকে মারপিট করা হয়েছে, কিন্তু তার সাথে তিনি জড়িত নন।
এ বিষয়ে শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ১৪ জানুয়ারি তিনি ছুটিতে ছিলেন। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ আসতে পারে, তবে লিখিত কোন অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
খুলনা গেজেট/কেএম