যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ চিকিৎসার নামে প্রতারণা ঠেকাতে জেলা জুড়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বুধবার সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে চার সদস্যের টিম শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছেন। এসময় তারা একটি ক্লিনিক স্থায়ীভাবে এবং ছয়টি প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজিক্যাল ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া তিনটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদানের জন্য সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, বাগআচঁড়ার জোহরা ক্লিনিক, জনসেবা ক্লিনিক ও মুক্তি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের শর্ত পূরণ করায় তাদের লাইসেন্স প্রদানের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে জনসেবা ক্লিনিকের প্যাথলজি ল্যাব ও অপারেশন থিয়েটার মানসম্মত না হওয়ায় তা সংশোধনের জন্যে আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নাভারণ বাজারের জোহরা ক্লিনিক স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া রুবা ক্লিনিকের লাইসেন্স ২০১৭ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। নবায়ন না করেই অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছে।
ক্লিনিকটিতে কোনো ডিপ্লোম নার্স এবং প্যাথলজি বিভাগে টেকনোলজিস্ট নেই। আল মদিনা ও পল্লী ক্লিনিকেরও একই অবস্থা। তাদের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাগআঁচড়া নার্সিং হোম ১০ শয্যার আবেদন করেছে। কিন্তু সেখানে ২৩জন ভর্তি রোগী পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্যাথলজি ল্যাবেও ত্রুটি রয়েছে। ফলে সেটিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাহানা ও মেহেরুন নেছা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে গেটে তালা দিয়ে চলে যায়। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে কঠোর হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে সরকারি নিদের্শনা মোতাবেক ২৩ আগস্টের মধ্যে সব ত্রুটি সংশোধনসহ নতুন লাইসেন্স গ্রহণ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স নবায়নে ব্যর্থ হলে স্থায়ীভাবে ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে।
অভিযানিক টিমে ছিলেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অর্থো-সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার শেখ মোহাম্মদ আলী, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা।
খুলনা গেজেট / এমএম