যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আহত মোস্তফা ধাবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল খালেক ধাবকের ছেলে। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বাগআঁচড়া এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন আব্দুল খালেক। গত ১৬ নভেম্বর রাতে তিনিসহ সর্মথকরা বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট এলাকায় প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বাগআঁচড়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনে প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা প্রার্থীর ছেলে মোস্তফা ধাবকসহ ৫ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ৪টি ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
আশংকাজনক অবস্থায় মোস্তফা ধাবকসহ তিনজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে মোস্তফার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থা শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান। মৃত্যু সংবাদ যশোরে আসার পর শার্শার বাগআঁচড়া এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে। এ নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, বাগআঁচড়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিনই থানায় মামলা দায়ের হয়। এরপর পুলিশ এ মামলায় দু’জনকে আটক করে। পরবর্তীতে হামলায় আহত মোস্তফা ধাবক শুক্রবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ কারণে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, শার্শায় নির্বাচনী সহিংসতারোধে থানা পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই ঘটনায় হামলাকারী সন্ত্রাসী আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম