যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় এক সন্তানের জননী গৃহবধূ লাবনী বেগমকে (২০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে উপজেলার হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর স্বামী ইমামুল ইসলাম পালিয়ে গেছেন।
গ্রামবাসী জানায়, গত পাঁচ বছর আগে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিননগর ইউনিয়নের চাকলা কাঁটালতলা গ্রামের সবুজ গাজীর মেয়ে লাবনীর সাথে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকার শফিকুল ইসলাম শফির ছেলে ইমামুল ইসলামের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত পরশু রাতে স্বামীর ফোনে স্থানীয় এক মেয়ের পরকীয়া প্রেমালাপের অডিও রেকর্ডিং শুনতে পায় লাবনী। এটাই কাল হয় তার জীবনে। স্বামীর কাছে পরকীয়ার বিষয় জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী লাবনীকে পিটিয়ে হত্যা করে পাষান্ড স্বামী ইমামুল। পরে সেটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করে লাবনীর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বামী। এরপর ইমামুলের পরিবারের সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নিহত লাবনীর ভাই সোহেল জানান, যৌতুকের টাকার জন্য ইমামুল প্রায় আমার বোনকে মারধর করতো। আমরা অনেক বার বোনের সুখের জন্য তাকে টাকা দিয়েছি। পরকীয়াসহ বিভিন্ন ভাবে সেই টাকা সে খরচ করে ফেলতো। এর আগে কয়েকবার আমার বোনকে মারপিট করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। এ নিয়ে কয়েকবার মিমাংসা বৈঠক হয়েছে। এদিন আমার বোন স্বামীর পরকীয়া ধরে ফেলায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি বোনের হত্যার বিচার চাই।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ফরিদ ভুঁইয়া জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। লাবনীর গলায় একটি দাগ ছিল বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশের গলায় একটি দাগ দেখতে পেয়েছি। তবে এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে। লাশ উদ্ধার করে যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি