যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার বাগআঁচড়া বাজারে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। এসময় সন্ত্রাসীরা ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও ৪টি মটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদের বুধবার দুপুরে নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের বাঁগআচড়ার সাতমাইল বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি নিশ্চিত করেন শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান।
পুলিশ ও আহত বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল খালেক জানান, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সাতমাইল গরুহাট এলাকায় প্রচারণা শেষ করে প্রার্থী আব্দুল খালেকসহ ১০/১২ জন মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল। পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাগআঁচড়া বাজারের বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনে পৌছালে একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও ৪টি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসী হামলায় প্রার্থী খালেকের কর্মী ও সমর্থক ৭ জন গুরুতর আহত হন।
এদের মধ্যে প্রার্থী আব্দুল খালেকসহ চারজনকে বুধবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দু’জন হলেন, আওয়ামী লীগ কর্মী মোস্তাক ধাবক, আবু সাঈদ ধাবক ও মিশন বিশ্বাস। বাকি তিনজন প্রাথমিক চিকৎসা নিয়েছেন।
এদিকে, সন্ত্রাসী এ হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস মার্কা) আব্দুল খালেকের সমর্থকরা বুধবার দুপুর ১টার দিকে নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের বাঁগআচড়ার সাতমাইল বাজারে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে শার্শা থানা পুলিশ সড়ক অবরোধের ১ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বর্তমানে এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল খালেকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এদিন দুপুরে মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম