নানা শঙ্কা আর সংশয়ের মধ্যে দিয়ে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রবিবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যশোরের শার্শা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে। শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচরাণায় উত্তাল এখন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে। দলীয় নেতা-কর্মী আর সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজেকে দলীয় প্রার্থী বলে পরিচয় দিয়ে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তের পাশাপাশি পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রার্থীরা। আর ভোটরারা বলছেন দেখেশুনে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
ভোট হবে উপজেলার ডিহি, লক্ষণপুর, বাহাদুরপুর, পুটখালি, গোগা, কায়বা, বাগআঁচড়া, উলাশী, শার্শা ও নিজামপুর ইউনিয়নে।
বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, গোটা উপজেলায় চলছে পুরোদমে নির্বাচনী আমেজ। কৃষি জমি থেকে শুরু করে বাজারে চায়ের দোকানের আড্ডায় সবার মুখে আলোচনার প্রধান বিষয় ভোট। ভোটাররা যেমন প্রার্থীদের নিয়ে নানা ধরনের চিন্তা ভাবনা করছেন তেমনি প্রার্থীরাও বসে নেই। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সকল প্রকার প্রচারণা শেষ। সকাল হলেই ভোট কেন্দ্রে জড়ো হতে থাকবে ভোটার ও প্রার্থীরা।
শার্শা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মেহেদী হাসান জানান, এ উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন হলেও ১০টিতে নির্বাচন হচ্ছে। বেনাপোল ইউনিয়নে সীমানা সংক্রান্ত উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় সেখানে নির্বাচন হচ্ছে না। ১০টি ইউনিয়নে ১০৮টি ভোট কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৪৩ জন ভোট প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ২০০ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩ জন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন ৪৩ জন। তবে নির্বাচনের আগে বিদ্রোহী তিন ও স্বতন্ত্র এক জন প্রার্থী আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌকা প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৩৯ জন এবং সংরক্ষিত পদে ৯৭ জন ও সাধারণ পদে ৪০৭ জন।
উপজেলা রিটানিং অফিসার ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব বন্টন ও ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী বুঝে দেওয়া হয়েছে।
১০ ইউনিয়নের ১০৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নির্বাচনের আগের দিন থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম শেষ হওয়া পর্যন্ত স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
এ ছাড়া বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পুলিশের মোবাইল টিম, বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাব ও বিজিবি’র টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবে।