সিরিজ আগেই জেতা হয়ে গেছে। তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটি তাই গুরুত্ব হারিয়েছে আগেই। সেটাই যেন ফুটে উঠল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। গোটা দলের ব্যর্থতার পর কিছুটা সাফল্যের গল্প লিখতে পেরেছেন কেবল শামীম পাটোয়ারি। আর শামীমের ইনিংসে ভর করেই ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশ।
পুরো সিরিজে দাপুটে ব্যাটিং করলেও সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং রনি তালুকদার। এই দুজনের মতো ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাকিব আল হাসানও। পাওয়ার প্লে’তে চার উইকেট পড়ার পর সপ্তম ওভারে হৃদয়ও ফিরে গেছেন।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ দিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে চার মারেন লিটন-রনি দুজনই। সেই ওভারে ৯ রান নিয়ে শেষ দুই ম্যাচের মতো আগ্রাসী সূচনার ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার।
কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন মার্ক অ্যাডায়ার। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন লিটন (৫)। ডিপ পয়েন্টে তা লুফে নেন জর্জ ডকরেল। তৃতীয় ওভারে হ্যারি টেক্টরের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত।
৮ বলে ৪ রান করা এই ব্যাটারের ক্যাচটি লুফে নেন কার্টিস ক্যাম্ফার। চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আসেন ক্যাম্ফার। তার বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন রনি। এবার ক্যাচ ধরেন অ্যাডায়ার। ১০ বলে তিনটি চারে ১৪ রান করেন রনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আগ্রাসী সূচনা করেন হৃদয়। একটি চার ও একটি ছক্কায় টেক্টরের সেই ওভারে ১২ রান তোলে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ফিরে যান সাকিবও। বাংলাদেশের অধিনায়কের উইকেটটি নিয়েছেন অ্যাডায়ার। সাকিবের মিড উইকেটে তুলে দেয়া ক্যাচটি ধরেন বেন হোয়াইট।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারে ফিরে যান হৃদয়ও। ১০ বলে ১২ রান তুলে হোয়াইটের বলে ফিরে যান তিনি। যথারীতি এবারও মিড উইকেটে ওঠে ক্যাচ, যা লুফে নেন টেক্টর।
৪১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারানো দলটি ৬১ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায়। শামীম এক পাশ থেকে লড়লেও তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদরা। দুজনই ম্যাথু হামফ্রেইসের করা ইনিংসের দশম ওভারে ফিরে গেছেন।
বাকি সময়টা একাই লড়ে যান শামিম। ১৭ বলে ১৩ রান করে মাঝের দিকে তাকে সঙ্গ দিয়ে যান নাসুম আহমেদ। শরিফুল করেন পাঁচ রান। ১৯তম ওভারে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শামীম। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি হাঁকাতে ৪০ বল খেলেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএম