শান্তিপূর্ণভাবে বাঁধাহীন পরিবেশে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ৩টার দিকে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী এক জোট হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় ফটকে পুলিশের উপস্থিত থাকলেও তাদের কেউ বাঁধা দেয়নি।
প্রায় ৫২ দিন পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের অবস্থান নেন। তারা সেখানেই অবস্থান করে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। শিক্ষকরা তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন যে, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো খোলা সম্ভব নয়।
এর আগে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েটে) ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় কুয়েট প্রশাসন । এনিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়।
রোববার দুপুর ২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে শিক্ষকরা সেখানে যান। দুই পক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার দুপুর ২টায় বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে হলে উঠার ঘোষণা দিয়ে আসছিল। তা ঠেকাতে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিক সভা, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি, বিজ্ঞপ্তি জারি ও অভিভাবকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে শিক্ষার্থীদের কুয়েটে না পাঠানোর অনুরোধ জানায়।
খুলনা গেজেট/হিমালয়