সৌম্য সরকার আউট হয়েছিলেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ না করে। নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের বেলায় সেই ভুলটা করলেন না। আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার নিজের নতুন স্পেলে এসেই শান্তকে ফেলেছিলেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। তাতে সায় দিয়েছিলেন আম্পায়ারও। তবে শান্ত রিভিউ নিয়েছেন। হক-আইয়ে দেখা গেল বল সুইং করে বেরিয়ে যাচ্ছে লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে।
শান্ত বেঁচে গিয়েছেন সেই সুবাদে। এরপরের ওভারেই রশিদ খান ওয়াইড বল করে মেহেদি মিরাজের সঙ্গে শান্তর জুটিকে নিয়ে গেলেন পঞ্চাশ রানের ল্যান্ডমার্কে। দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত-সৌম্যর ৭১ রানের পর তৃতীয় উইকেটেও পঞ্চাশ রানের জুটি পেল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটার পরেই আবার আঘাত। এবারে রশিদের দারুণ সুইংয়ে আউট মিরাজ। ৩৩ বলে ২২ রান তার। দলীয় রান যখন ১৫২, বাংলাদেশ হারাল তৃতীয় উইকেট।
এই জুটির পথেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। যদিও খেলেছেন বেশ ধীরগতিতে। ৯৮ বলে করেছেন ৬০ রান। এই মুহূর্তে ক্রিজে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়।
শারজাহতে বাংলাদেশ শুরু থেকেই অবশ্য খেলেছে সাবধানী। সৌম্য সরকার এবং নাজমুল শান্ত নিজেদের বড় জুটির পথে সমীহ করে খেলেছেন আল্লাহ গাজানফার এবং রশিদ খানকে। এই দুজনকে বাদ দিয়ে প্রায় ওভারেই ছিল বাউন্ডারির দেখা। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের রানের গতি কমেছে। ইনিংসের প্রথম ৫০ রান করতে তারা খেলেছে ৫০ বল। সেখান থেকে ১০০ তে যেতে লেগেছে ৬৪ বল। তবে মিরাজ-শান্তদের ব্যাটে ভর করে পরের ৫০ করতে বাংলাদেশ খরচ করেছে ৮০ বল।
এর আগে টাইগারদের কিছুটা ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম। চতুর্থ ওভারে ফেরার সময়েই তার নামের পাশে ছিল ২২ রান। ভালো শুরুর ইনিংসটাকে লম্বা করা হয়নি তার। জুনিয়র তামিমের মতোই অবস্থা সৌম্যর। এই ব্যাটারের কাছ থেকেও ভাল শুরু দেখা গিয়েছিল। যদিও সেটা ফিফটিতে পরিণত করা হয়নি। রশিদ খানের শিকার হয়ে ফিরেছেন ৩৫ রান করে।
খুলনা গেজেট/এএজে