অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের মরদেহ বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য এবং প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের বিচারপতি ও আইনজীবীরাও অংশ নেন।
রবিবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। গত ৪ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন মাহবুবে আলম। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। একপর্যায়ে তাকে হাসপাতালের কেবিন থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। কয়েক দিন আগে তার সর্বশেষ করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
মাহবুবে আলম ১১ বছর ৮ মাস রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার পদে ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে নিয়োগ পান। তারপর মৃত্যু অবধি ওই পদে ছিলেন। তার স্ত্রী বিনতা মাহবুব একজন চিত্রশিল্পী। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে সুমন মাহবুব পেশায় সাংবাদিক। আর মেয়ে শিশির কনা আইন পেশায় জড়িত রয়েছেন।
খুলনা গেজেট /এমএম