বগুড়ায় ১০০ বিঘা জায়গাজুড়ে ধানের গাছ দিয়ে তৈরি ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ চিত্রকর্মটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম মেনেই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির স্থানীয় দুই প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার দুপুরে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুরো চিত্রকর্মটি পর্যবেক্ষণের পর তারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, তারা পুরো চিত্রকর্মটি দেখেছেন। গিনেস বুক থেকে যেভাবে বলা হয়েছিল, সেভাবেই এটি করা হয়েছে। এখানে কৃত্রিম কিছুই ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি জায়গার পরিমাপও সঠিক রয়েছে।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্য একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী জানান, তারা শিগগিরই তাদের প্রতিবেদন গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। আশা করা যাচ্ছে, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনেই গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ হয়তো এটিকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে ঘোষণা করবে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই দুই প্রতিনিধি ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ চিত্রকর্মটি দেখতে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে যান।
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সদস্য সচিব ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের কর্ণধার মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক ফয়জুল সিদ্দিকী ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছর দেশজুড়ে জাঁকজমকপূর্ণ নানা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটি করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে কৃষিপ্রধান সবুজ বাংলার বিশাল ক্যানভাসকে ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর চিত্রকর্ম আঁকার পরিকল্পনা করা হয়। বিশাল ওই কর্মযজ্ঞটিতে অর্থায়নের জন্য এগিয়ে আসে দেশে কৃষি খাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার। এরপর স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামের ১০০ বিঘা ফসলি জমি। বিদেশ থেকে আনা বেগুনি রঙের ধানবীজ থেকে উৎপন্ন চারা গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে গত ১ ফেব্রুয়ারি রোপণ শুরু হয় এবং চলে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
১০০ বিঘা বা ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র। এর আগে ২০১৯ সালে চীনের ফসলের মাঠে তৈরি করা চিত্রকর্মের আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট।
খুলনা গেজেট/কেএম