খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরে চোরাচালানের স্বর্ণ বহনের অভিযোগে যাত্রী আটক, বিমান জব্দ

শসা নিয়ে খুশি চাষি, বিপাকে ব্যাপারী

এস এস সাগর, চিতলমারী

করোনার ক্রান্তিকালেও বাগেরহাটের চিতলমারীর সবজি চাষিরা শসার বাজার দরে খুশি। কম সময়ে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় এ উপজেলার চাষিরা শসা চাষে ঝুঁকেছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রমে উৎপাদিত শসা বাজারজাত শুরু হয়েছে। কিন্তু শসা নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন ব্যাপারীরা। তারা ক্রয়কৃত শসা ট্রাকের অভাবে সময় মত গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারছে না।

ব্যাপারীদের দাবি, দ্রুত এ সমস্যা নিরসন না হলে চাষিদের এ খুশি কান্নায় পরিণত হবে। কারণ এইভাবে চলতে থাকলে এ প্রভাব সরাসরি চাষিদের ওপর পড়বে।

চিতলমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অসীম দাশ জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মোট ৩ হাজার ২০৩ একর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৫৫৩ একর জমিতে শসা ও ৫০৮ একর জমিতে করল্লা। বাকি এক হাজার ১৪২ একর জমিতে পুঁইশাক, লাউ, ঢেঁড়স, ডাটা, চিচিংগা, পানিকচু, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে। কম সময়ে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় এ উপজেলার চাষিরা শসা চাষে বেশী ঝুঁকেছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রমে উৎপাদিত শসা বাজারজাত শুরু হয়েছে। এ উপজেলার উৎপাদিত শসা ও করল্লা ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজিপুর ও কুমল্লিাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের চাহিদা মেটায়। প্রতিদিন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে ট্রাক ভরে এ শসা ও করল্লা বিভিন্ন জেলায় যায়।

শসা চাষি খড়মখালী গ্রামের অরুণ মজুমদার, শ্রীবাস বিশ্বাস, দিপক মজুমদার, বাসু মজুমদার, চন্টু হীরা, দড়িউমাজুড়ি গ্রামের অনিমেশ বাড়ই, মৃম্ময় বাড়ই, রমেশ বসু, পীযূষ বিশ্বাস, সনঞ্জয় মজুমদার, বিজয় মন্ডল ও অশোকনগর গ্রামের বিশ্ব বড়াল বলেন, মহামারি করোনার ক্রান্তিকালেও শসার বর্তমান বাজার দরে আমরা খুশি। বুধবার আড়তে প্রতিমণ শসার দাম পেয়েছি ৭০০-৭৫০ টাকা। এ দাম বজায় থাকলে এ বছরও আমরা শসা চাষে লাভবান হব।

উপজেলার খড়মখালী মোড়ের আড়তদার অসিম বিশ্বাস জানান, তার আড়তে সাড়ে তিনশ’ মণ শসা বস্তাবন্দি রয়েছে। ট্রাকের অভাবে ব্যাপারীরা চট্টগ্রামে পাঠাতে পারছেন না।

অনুরুপ জানিয়েছেন উপজেলার দড়িউমাজুড়ি গ্রামের আড়তদার সজল বাড়ই। তার আড়তেও কমপক্ষে পাঁচশ’ মণ শসা গন্তব্যে পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে।

শসা ব্যাপারী সেলিম শেখ, শংকর মন্ডল ও রামপদ মন্ডল বলেন, আমরা চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন আড়ত থেকে শসা ও করল্লা ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাই। আজও কয়েকশ’ মণ শসা কিনেছি। কিন্তু ট্রাকের অভাবে সে গুলো চট্টগ্রাম পাঠাতে পারছি না। সময় মত এগুলো পাঠাতে না পারলে নষ্ট হয়ে যাবে। আর দিনের পর দিন এ ভাবে চলতে থাকলে এ প্রভাব সরাসরি চাষিদের ওপর পড়বে। তাই দ্রুত এ সমস্যা নিরসন না হলে চাষিদের এ খুশি কান্নায় পরিণত হবে।

চিতলমারী বাজারের ট্রাক এজেন্ট (তৃতীয় পক্ষ) সমর সাহা বলেন, সবজির সিজেনে (উৎপাদনের সময়) এখানে অসংখ্য ট্রাকের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে করোনা, গরু বাজারজাতকরণ ও আম পরিবহনের কারণে সীমাহীন ভাবে ট্রাক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে এ অঞ্চলে। বেশী টাকা দিয়েও ট্রাক ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!