বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রায়হান উদ্দিন শান্ত নৌকা প্রতিকে ৫৬ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এড. মোঃ শহিদুল ইসলাম নাঙ্গল প্রতিকে পেয়েছেন ৭৬৭ ভোট ও বিএনপি মনোনীত মতিয়ার রহমান খান ধানের শীষ প্রতিকে ৬৭৩ ভোট পেয়ছেন।
শরণখোলা উপজেলা মিলনায়তনে নির্বাচনী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরাজী বেনজীর আহমেদ এই ফলাফল জানান।
শরণখোলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৩৩টি কেন্দ্রে ৮৯ হাজার ৩৩৭ জন ভোটার ছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ৫৭ হাজার ৬২৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে কোথাও কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ উপজেলার সর্বত্র বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের টহল ছিল।
অপরদিকে, একই দিন দুপুরে বাগেরহাটের জেলা প্রসাশক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদশর্ন করেন। এ সময় তাঁরা ভোটারদের স্ততষ্ফুর্ত উপস্থিতিসহ শান্তিপুর্ণ পরিবেশ দেখে সন্তোশ প্রকাশ করেন।
এছাড়া উপজেলার কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে , নারী ও পুরুষদের দীর্ঘ লাইন এবং ভোট কেন্দ্রের আশপাশে পরিবেশ ছিল উৎসব মুখর।
শরণখোলা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ রায়হান উদ্দিন শান্ত আকন (নৌকা), জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খান মতিয়ার রহমান (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এড. শহিদুল ইসলাম (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ৩৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৮৯ হাজার তিনশত ৩৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৪ হাজার ছয়শত ২জন ও নারী ভোটার ৪৪ হাজার সাতশত ৩৫ জন। মোট ভোট পড়েছে ৫৭ হাজার ৬২৮। যা মোট ভোটারের শতকরা প্রায় ৬৫ ভাগ বলে নির্বাচন কমিশন সুত্র জানায়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার ফরাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, সবকটি কেন্দ্রেই শান্তিপুর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নৌকার প্রার্থী মোঃ রায়হান উদ্দিন শান্ত বে-সরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম