বাগেরহাটের শরণখোলায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে ওই নারীর ঘর থেকে মঙ্গলবার(২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই নারীর নাম রহিমন বেগম। ৪৫ বছরের রহিমন চালিতাবুনিয়া গ্রামের আকাব্বর মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। আকাব্বর মিয়া প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকায় রহিমন একাই তার স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। তাদের ছেলেও আলাদা বাড়িতে থাকেন।
রহিমনকে হত্যা করা হয়েছে নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে- এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকালে তথ্য নিশ্চিত করে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
রহিমন বেগমের ছেলে আব্দুর রহিম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী বাদল হাওলাদার ও তার স্ত্রী লাকী বেগম বাড়িতে ঢুকে তার মাকে মারধর করেন। এতে তার মা মারাত্মকভাবে আহত হন। এ অবস্থায় বিকেলে তিনি মারা যান। আগের কোনো দ্বন্দ্বের জেরে তারা এ কাজ করে থাকতে পারেন বলেও জানান তিনি।
আহত হলে কেন হাসপাতালে নেয়া হয়নি- এমন প্রশ্ন করা হলে আব্দুর রহিম কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
ওসি ইকরাম হোসেন বলেন, ‘রহিমন বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়রাও তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
‘এ ছাড়া পুলিশ রহিমনের ছেলের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই