বাগেরহাটের শরণখোলায় হাসি আক্তার (১৪) নামের দশম শ্রেণীর মাদ্রাসা পডুয়া এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার লাকুড়তলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ নিহতের মরেদহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা গ্রামের বাসিন্দা ৮নং লাকুড়তলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম হাওলাদারের মেয়ে হাসি আক্তার রায়েন্দা হেদায়েত উলুম নেসারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল দশম শ্রেণীর ছাত্রী। দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়ায় অমনোযোগী হওয়ায় তার মা মরজিনা বেগম মেয়েকে বকাঝকা করে। দুপুরের খাবার শেষে অন্য বোনদের সাথে ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে হাসি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর রাত ৮টার দিকে ঘরের দোতলায় পাটাতনের উপর আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে নিহতের পিতা ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল আহমেদ জানান, মেয়েটির গলায় ফাঁস লাগানোর চিহ্ন রয়েছে এবং হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৭ দিনের ব্যবধানে হাসি আক্তারসহ তিন শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার লাকুড়তলা গ্রামে মরিয়ম (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী ও ২০ মার্চ উপজেলার উত্তর সাউথখালী গ্রামে তাহিরা (৮) নামের চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় জনমনে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই