গত ১৫ দিন ধরে খুলনায় দুই ধরণের মুরগির দাম উর্ধ্বমুখী। ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ আসন্ন শবে বরাত ও রোজাকে কেন্দ্র করে এ মূল্য বৃদ্ধি। অপরদিকে চালের বাজারে কোন সু-খবর নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় এ দ্রব্যটিও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।
খুলনার কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত দু’ সপ্তাহ পূর্বে সোনালী মুরগির কেজি ছিল ১৮০ টাকা। আর দেশি মুরগি ৩০০ টাকা। বর্তমানে সোনালি ২৮০ ও দেশি মুরগি ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিছিয়ে নেয় ব্রয়লার ও কর্ক মুরগির দামও। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১৪৫ ও ২৮০ টাকা।
নগরীর জোড়াকল বাজারের মুরগি বিক্রেতা সেলিম হোসেন জানান, গত কয়েকদিন মুরগির বাজারদর উর্ধ্বমুখী। শীতের শেষ দিকে মুরগির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। ওই সময় মুরগির উৎপাদন কম থাকে। দামেও চড়া থাকে। কিন্তু বর্তমানে মুরগির খাবারের দামও বেড়েছে। তাই সব মিলিয়ে বাজার চড়া।
পিটিআই মোড়ে মুরগি বিক্রেতা আকবর আলী জানান, দেশি মুরগি তেমন একটা পাওয়া যায়না। যা পাওয়া যায় তাও বেশি দরে কিনতে হয়। দুই সপ্তাহ পূর্বে ৩০০ টাকা দর থাকলেও বর্তমানে তা ৩৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
মুরগি ক্রেতা শামসুর রহমান জানান, প্রতিবছর শবে বরাতের আগে ব্রয়লার ও গরুর মাংসের দাম কিছুটা বাড়ে। তবে সোনালি ও দেশি মুরগির দাম খুব একটা বাড়তে দেখা যায় না। সব মিলিয়ে শবে বরাতের মাংস ক্রয় করতে এবার অনেকটা খরচ বাড়বে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে চালের বাজারেও ভালো সংবাদ নেই। এটি উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। দোলখোলা বাজারের ব্যবসায়ি কামরুল ইসলাম প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৪ টাকায় বিক্রি করছেন। একইভাবে মাঝারি মিনিকেট ৬০ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা, মোটা ৪৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৫ টাকা ও ইরি আতপ ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৈশাখ মাসে চালের দাম কমতে পারে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/কেএম