কিছুটা হলেও কমল ভারতের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৯০৭ জন। দৈনিক মৃত্যুও পর পর তিন দিন ৪ হাজার থাকার পর শনিবার একটু কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৯০ জনের। করোনার জেরে এখনও অবধি দেশে মোট প্রাণ গেল ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ২০৭ জনের।
মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হয়েছে আগের তুলনায় অনেকটা কম। এর জেরে দেশের দৈনিক সংক্রমণও কমেছে। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে ৪০ হাজারের নীচে। ৩১ মার্চের পর এই প্রথম মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্ত ৪০ হাজারের নীচে নামল। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৫০৬ জন। ১০ এপ্রিলের পর এই প্রথম দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কম হল। ছত্তীসগঢ়ের আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজারের আশপাশে। উত্তরপ্রদেশে তা সাড়ে ১৫ হাজার। গুজরাতে ১০ হাজারের কম এবং মধ্যপ্রদেশে আক্রান্ত ৮ হাজার মতো। তবে এই রাজ্যগুলিতে কমলেও অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরল, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় একই আছে।
এর মধ্যেই দেশে চলছে করোনা টিকাকরণ। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা পেয়েছেন ১১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৯৫ জন। যা এ সপ্তাহের বাকি দিনগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। এ নিয়ে দেশে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮ কোটির বেশি।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত ও মৃত্যু কিছুটা কমলেও ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশেষ করে দেশের হাসপাতালগুলিতে যেভাবে কোভিড রোগীদের ভিড় বেড়ে চলেছে, তা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় বলে জানিয়েছে তারা। টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই যা নতুন করে চিন্তা বৃদ্ধি করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার গোটা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিশেষ সাংবাদিক বৈঠক করেন হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। সেখানে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। টেড্রস বলেন, ‘‘ভারতের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিভিন্ন রাজ্যে যে ভাবে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে চলেছে এবং হাসপাতালগুলিতে যে ভাবে ভিড় বাড়ছে তা সত্যিই দুশ্চিন্তার বিষয়।”