শত জলুম নির্যাতনের মধ্যেও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলকে সামলে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দলের প্রধান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। জেল জুলুম হয়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছে, অনেক লাশ হারিয়ে গেছে।’
কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, এরশাদ, জিয়া সব আমলেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু শত নির্যাতনের মধ্যেও আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে সব সময় শক্তিশালী ছিল। বিশেষ করে আমাদের মাঠকর্মীরা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তারাই কিন্তু দলকে ধরে রাখছেন।’
দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি তুলে ধরে দলীয় প্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমি যখন দেশে ফিরে আসি, তখন সবচেয়ে অবহেলিত ছিল দক্ষিণাঞ্চল। উত্তরাঞ্চল ছিল মঙ্গাকবলিত এলাকা। তখন কোনো মানুষের গায়ে মাংস ছিল না। তাদের খাবার ছিল না। রোগের চিকিৎসা ছিল না। আর প্রতি বছর দুর্ভিক্ষ হত।
‘তখন থেকে আমার একটা প্রতিজ্ঞা ছিল, যখন সুযোগ পাব, দেশের জন্য কাজ করব। এখন উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা নাই। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক উন্নয়ন হবে।’
সোমবার গাড়িতে করে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো স্থাপনাটির ওপর দিয়ে বাড়িতে গেলেন সরকারপ্রধান। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।