খুলনা থেকে একটি সাপ ধরে নিয়ে বাগেরহাটে এসেছেন রফিকুল ইসলাম নামে এক যুবক। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে বাগেরহাটের কেন্দ্রীয় মাছ বাজারে স্থানীয়দের দেখানোর উদ্দেশ্যে প্লাষ্টিকের পট থেকে সাপটিকে বের করেন ওই সাপুরে । মুহুর্তেই স্থানীয়দের ভিড় জমে যায় সাপটিকে দেখতে। এসময় অনেকেই সাপটির ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে সাপটি নিয়ে চলে যায় রফিকুল। সব শেষ বিকেলে সাপনিয়ে বাজারে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম।
রফিকুলের দাবি এটি রাসেল ভাইপার। কিন্তু বন বিভাগ বা কোনো মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে বাগেরহাট জুড়ে।
জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম পিরোজপুরের নাজিরপুর দেউলিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন মাছ চাষি। প্রায় ১৬ বছর ধরে যেখানে খবর পান সেখানে গিয়ে সাপ ধরেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার একটি ফাকা মাঠে জালে আটকা পড়ছে সাপ। খবর পেয় সেখানে গিয়ে সাপটিকে ধরে নিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে জনমনে অনেক আতঙ্ক রয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য এই সাপটি এটা নিয়ে মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয় এজন্য সবাইকে দেখিয়েছি।
রফিকুল ইসলাম দাবি করেন তিনি পেশায় একজন মাছ চাষি। তবে ১৬ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকার থেকে বিষাধর সাপ ধরেন।
সাপ দেখতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে অনেক প্রচার-প্রচারণা দেখেছি। মাছ বাজারে সাপ দেখানো হচ্ছে শুনে দেখতে এলাম। একটা প্লাষ্টিকের ভিতর থেকে সাপটিকে বের করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এসময় অনেকেই রাসেল ভাইপার সাপটির ছবি তুলেছে। আমাদের এলাকায় রাসেল ভাইপার সাপ কখনো দেখা যায়নি। এর আগে এই সাপ আমি দেখিনি।
এদিকে সাপ নিয়ে বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনা এবং বাগেরহাট মডেল থানার দুই ধরণের বক্তব্য পাওয়া গেছে।
বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্য বলেন, বাগেরহাট মডেল থানা থেকে আমাদেরকে জানিয়েছে বিষয়টি। তবে তারা যদি সাপটিসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করত, তাহলে আমরা সহজে সাপটিকে উদ্ধার করতে পারতাম।
এদিকে বাগেরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বগেরহাটে রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে আসছে। বিষয়টি আমরা বন বিভাগকে জানিয়েছি।