বাংলাদেশের দেওয়া ১০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া। মেহেদীর বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন মার্শ। ১০.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর লড়াইয়ে ফিরেছ বাংলাদেশ।
মোস্তাফিজের দ্বিতীয় উইকেট! সিমের ওপর হাত ঘুরিয়ে করা স্লোয়ার ঠেকাতে পারেননি অ্যালেক্স ক্যারি। গাজী সোহেলের দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেও লাভ হয়নি ক্যারির। ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ৬৩ রানে ৫ম উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া!
মিচেল মার্শের স্ট্রেইট ড্রাইভটা সোজা গিয়েছিল নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প বরাবর। তবে তার আগে আঙুল লাগিয়েছেন সাকিব সেটিতে। ক্রিজের বাইরে থাকা মোয়েজেস হেনরিকেসকে ফিরতে হলো তাই রান-আউট হয়ে। জয়ের জন্য এখনও অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ৪৫ রান।
মাত্র ৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করেছে সফরকারীরা। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করে।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদীর বলে ফেরেন ওয়েড।মেহেদীর করা ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। পাওয়ার প্লেতে প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশকে উইকেট নিয়ে দিয়ে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান। চতুর্থ ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। মেহেদীর মায়াবী ঘূর্ণি ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে ওয়েডের স্ট্যাম্পে। ৩ বলে মাত্র ২ রান আসে অজি অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
টানা দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটসম্যানকে মাঠছাড়া করল বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসানকে পাঁচটি ছয় মেরে ৩০ রান তোলেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যানকে ষষ্ঠ ওভারে আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৫ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৩৯ রান করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশি পেসারের ফুলার ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে শামীম হোসেনের সহজ ক্যাচ হন। প্রথম ওভারেই বাজিমাত করলেন কাটার মাস্টার, রান তো দেনইনি, নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। আগের ওভারে অজি ব্যাটসম্যান বেন ম্যাকডারমটকে (৫) এলবিডাব্লিউ করেন নাসুম আহমেদ।