নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দূর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সোহাগ শিকদারকে (৩৪) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকী দুজনকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার কামঠানা-মোচড়া এলাকার রেল ব্রীজের নিকট এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকালে কালনা-যশোর মহাসড়কের আলা মুন্সীর মোড়ে স্হানীয় বিএনপির অফিস উদ্বোধন শেষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা চা পান করার জন্য মোটরসাইকেলযোগে লোহাগড়ার কাউড়িখোলার দিকে যাচ্ছিল। নেতা-কর্মীরা কামঠানা-মোচড়ার মধ্যবর্তী রেল ব্রীজের নিকট পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ী গুলি ছুড়লে বিএনপির তিনজন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়।
আহতরা হলেন, করফা গ্রামের মিজান শিকদারের ছেলে বিজিবি সদস্য সোহাগ সিকদার (৩২), সোবহান শিকদারের ছেলে ও লোহাগড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মিথুন শিকদার (৩২) ও ওবায়দুর রহমান শিকদারের ছেলে ও লোহাগড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিওন শিকদার (২৫)।
ঘটনার পর স্হানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এরমধ্যে গুরুতর আহত বিজিবি সদস্য সোহাগ শিকদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত দুজনকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ওই এলাকায় কোন গুলির ঘটনা ঘটে নাই। তবে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
খুলনা গেজেট/কেডি