ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার সাত ধাপের নির্বাচন শেষে আজ ভোট গণনা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক গণনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে আছে। আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোট ৩০০’র চেয়েও বেশি আসনে এগিয়ে আছে। বিজেপি এককভাবে ২৫৫ আসনে এগিয়ে। অপরদিকে, প্রতিপক্ষ রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ১৭২ আসনে এগিয়ে। কংগ্রেস ৭১ আসনে এককভাবে এগিয়ে আছে।
প্রাথমিক ধারা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে রিপাবলিক টিভি চ্যানেল পূর্বাভাস দিয়েছে, মোদি জয়ী হতে চলেছেন।
কংগ্রেসের মুখপাত্র পাওয়ান খেরা বলেছেন, ‘এটা একেবারে শুরুর দিকের ফল। দিনের পরের অংশে আমরা আরও ভালো ফল দেখতে পাব।’
১ জুন বুথফেরত জরিপে মোদির বড় ব্যবধানে জয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। তবে ভারতে এ ধরনের জরিপের ফল প্রায়ই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে, প্রায় ১০০ কোটী নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৬৪ লোটি ২০ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন।
বিনিয়োগকারীরা মোদির সম্ভাব্য আরেকটি মেয়াদ নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, মোদি আবারও ক্ষমতায় এলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য ইতিবাচক সংস্কার ও বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে। অপরদিকে, প্রতিপক্ষ ও সমালোচকদের আশঙ্কা, দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে বিজেপি সংবিধানে পরিবর্তন আনবে।
বুথফেরত জরিপের ফল শনিবার প্রকাশ করা হয়। সেখানে পূর্বাভাষ দেওয়া হয়, ৫৪৩ আসনের লোকসভায় দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে মোদির জোট।
কিছু জরিপে বলা হয়, ২০১৯ সালের মতো এবারও বিজেপি একাই ৩০৩ বা তার চেয়েও বেশি আসন পেতে পারে।
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন মোদি (৭৩)। এবার জয়ী হলে তিনি জওহরলাল নেহেরুর পর দ্বিতীয় ভারতীয় নেতা হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশের ক্ষমতায় বসবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম