মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান বঙ্গবন্ধুর তর্জনী নির্দেশে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৭৫ পরবর্তী দু:সময়ে তিনি নিজের অর্জিত অর্থ ব্যয় করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শক্তি যুগিয়েছিলেন। অসম সাহসী ও ত্যাগী এ নেতা দলকে সংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। লুৎফর রহমান সফল ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও তিনি অর্জিত অর্থ দলের পেছনে ব্যয় করেছেন। তিনি দলের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ছিলেন। লুৎফর রহমানের মতো বঙ্গবন্ধু আদর্শের ত্যাগী নেতাদের কারণেই আওয়ামী লীগ আজ শক্তিশালী।
তিনি আরও বলেন, লুৎফর রহমানের মত নেতারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সেটি জীবনে বাস্তবায়ন করেছেন। সেই কারণে দেশ ও দলের জন্য নিজের অর্জিত সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছেন। রাজনীতিতে নিবেদিত প্রাণ লুৎফর রহমান বিত্তশালী হয়েও নিঃস্ব হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর মত আদর্শিক নেতাদের ত্যাগকে সামনে নিয়ে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হবে।
মঙ্গলবার(৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, মহানগর যুব লীগের আহ্বায়ক মো. সফিকুর রহমান পলাশ। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, রাহুল শাহরিয়ার সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণ সভা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো. আব্দুর রহীম ও মুফতি রফিকুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/ এস আই