খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  অপারেশন ডেভিল হান্টে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৭৬৯
  গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১৫
  ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা, জাসদ গণবাহিনীর দায় স্বীকার

লুটপাট করা ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দ

গেজেট ডেস্ক

দুর্নীতি ও টাকা পাচারের দায়ে অভিযুক্তদের ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা, শেয়ার জব্দ করা অর্থ ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য আরও সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। সরকারের একাধিক সংস্থা আরও তদন্ত করছে। এতে আগামীতে আরও সম্পদ জব্দ করা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সরকারের একাধিক সংস্থা দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন ঘটনায় আদালতে মামলা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সাতটি মামলায় আদালত সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন।

বিএফআইইউ থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এর মধ্যে জব্দ করা ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ৩৭৮টি। এসব হিসাবে জব্দ করা অর্থ ও অন্যান্য সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।

এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিগত হিসাব, নাসা গ্রুপের সংশ্লিষ্ট্র বিভিন্ন ব্যক্তিগত হিসাব, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিভিন্ন ব্যক্তিগত হিসাব, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ব্যক্তিগত হিসাব রয়েছে। এছাড়া বিগত সরকারের আমলের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার শেয়ার। এদের মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমানের ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করেছে বিএসইসি। এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি শেয়ার জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মামলা হলে ওই গ্রুপের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করেছেন আদালত। এছাড়া সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৪১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বিশদ তদন্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৩০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এগুলোর মধ্যে এখন কয়েকটি মামলা হয়েছে। বাকিগুলোও মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ব্যাংক জালিয়াতি, রাজস্ব ফাঁকি ও টাকা পাচারের দায়ে আরও ১০টি বড় শিল্প গ্রুপের বিষয়ে বিশদ তদন্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এসব শিল্প গ্রুপ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে টাকা পাচারের বিষয়ে কিভাবে সহায়তা করেছেন সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। এসব তদন্ত সম্পন্ন হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এদিকে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার জন্যও সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!