খেলার শুরুতে এক গোলে এগিয়ে ছিলো আর্সেনাল। পরে লিভারপুল এক গোল দেয়। এভাবেই নির্ধারিত ৯০ মিনিটের লড়াই সমতায় শেষের পর ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ গোলে লিভারপুলকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ডের শিরোপা জিতে নেয় আর্সেনাল।
তার আগে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হয়। আর্সেনাল এই নিয়ে ১৬ বারের মতো কমিউনিটি শিল্ড জিতে মৌসুম শুরু করল। গানারদের চেয়ে বেশি শিরোপা আছে কেবল ম্যান ইউনাইটেডের ২১ বার।
টাইব্রেকারে আর্সেনাল জিতেছে ৫-৪ ব্যবধানে। লিভারপুলের রিহান ব্রিউস্টার তৃতীয় শটে বল মেরেছিলেন বারপোস্টে। অ্যালিসন আর আর্সেনালের ৫ শটে সুবিধা করতে পারেননি তেমন। এই মৌসুমে লিভারপুলের বিপক্ষে দলগুলো কতোখানি রক্ষণাত্মক খেলতে পারে তার একটা নিদর্শন দেখিয়েছে আর্সেনাল।
মিকেল আর্টেটার আর্সেনাল অবশ্য কিছু জায়গায় নিজেদের মুন্সিয়ানাও দেখিয়েছে। ম্যাচের ১২ মিনিটে আর্সেনালের গোল করেছে। লিভারপুলের হাইপ্রেস উপেক্ষা করে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ থেকে আক্রমণ গোছানো শুরু হয়েছিল। তারপর দ্রুত লম্বা দুই পাসে লিভারপুলের অ্যাটাকিং থার্ডে পৌঁছে গিয়েছিল আর্সেনাল। বাকায়ো সাকার ডায়াগোনাল বল বাম প্রান্তে লুফে নিয়ে বক্সের সামনে গিয়ে ডান পায়ের নিখুঁত শটে লিভারপুলের জালে বল জড়িয়েছেন তখন অবামেয়াং। তাতে আর্সেনালের হয়ে ওয়েম্বলিতে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিকও হয়ে গেছেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। ৫৫ মিনিটে সাদিও মানেকে ওয়ান অন ওয়ানে ফিরিয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। লিভারপুল সমতায় ফেরার পর ৮১ মিনিটে মার্টিনেজ আরেকবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মানের সামনে। নইলে ম্যাচটা ছিনিয়েও নিতে পারত লিভারপুল।
খুলনা গেজেট/এএমআর