খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম মারা গেছেন
  ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ১০ শিশুর মৃত্যু

লিবীয় উপকূলে নৌকাডুবি : ৫৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা জাতিসংঘের

আন্তর্জা‌তিক ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সোমবার (২৬ জুলাই) জাতিসংঘের এক অভিবাসন কর্মকর্তা একথা জানান।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম’র মুখপাত্র সাফা এমসেহলি জানিয়েছেন, অভিবাসীদের বহনকারী ওই নৌকা গত রোববার (২৫ জুলাই) লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর খুমস থেকে ছেড়ে যায়। নৌকাটিতে সেসময় কমপক্ষে ৭৫ জন মানুষ ছিলেন।

এমসেহলি আরও জানিয়েছেন, নৌকাডুবর পর জীবিত ফিরে আসা নাইজেরিয়া, ঘানা ও জাম্বিয়ার অভিবাসীরা জানান- খুমস শহর থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর নৌকাটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে একপর্যায়ে নৌকাটি ডুবে যায়।

টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার এই মুখপাত্র বলেন, ‘নৌকাডুবির পর কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে সাগরে থাকা জেলে ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী- ডুবে যাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন নারী এবং ২ জন শিশু ছিলেন।’

এদিকে বিপজ্জনক সমুদ্রপথ পেরিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টার সময় সাগরে ডুবে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে আইওএম। চলতি জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে নতুন এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এই তথ্য জানায়।

আইওএম বলেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার ১৪৬ জন মারা গেছেন। ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টাকারী মানুষের সংখ্যা ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মধ্য-ভূমধ্যসাগরে ‘লিবিয়া থেকে ইতালি’ যাওয়ার পথটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এই পথে ডুবে মরেছে ৭৪১ জন। এরপর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপের পথ ছিল দ্বিতীয় প্রাণঘাতী; এই পথে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৫০ জন। এছাড়া পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের স্পেনমুখী পথে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৪৯ জন এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরের গ্রিসের পথে প্রাণ গেছে ৬ জনের।

আইওএম বলেছে, অনেক জাহাজ ভেঙে ডুবে যাওয়ায় এবং শনাক্ত করতে না পারায় ইউরোপগামী ভূমধ্যসাগরের পথে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাটি বলেছে, চলতি মাসের প্রথম ছয় মাসে তিউনিশিয়ার উদ্ধার অভিযান গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ সাগর পথে ১৫ হাজারের বেশি পুরুষ, নারী ও শিশু উদ্ধারের পর ফেরত পাঠিয়েছে; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন গুণ বেশি। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি নাগরিকও আছেন।

সূত্র: আলজাজিরা

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!