ঢাকা থেকে লিবিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি সাংবাদিক জাহিদুর রহমানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকার সাভার এলাকার বাসিন্দা জাহিদুর রহমান (৪৮) এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি। গত ৫ দিন ধরে তার কোনো খোঁজ মিলছে না বলে জানা গেছে।
জাহিদের সঙ্গে থাকা লিবিয়ার বাংলাদেশি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তাদের লিবিয়ার গাড়িচালক মোহাম্মদ খালেদও একই সময় থেকে নিখোঁজ।
জাহিদের পরিবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। তবে, লিবিয়ায় থাকা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের পরিবারের ধারণা, ত্রিপলিতে যেহেতু মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণ কম কাজেই ক্ষমতাসীন সরকারের কোনো বাহিনীর কেউ তাদের ধরে নিয়ে যেতে পারে।
লিবিয়ার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান জানিয়েছেন, তারা এখন ধারণা করছেন কোনো মিলিশিয়া গ্রুপই তাদের ধরে নিয়ে যেতে পারে।
জাহিদুর রহমান এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধির পাশাপাশি সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেরও পরিচালক।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত ৩ মার্চ সাংবাদিক জাহিদ তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পারিবারিক ভিসা নিয়ে লন্ডনে যান। সেখান থেকে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ঘুরে ২১ মার্চ তিনি লিবিয়ায় পৌঁছান। পরদিন ২২ মার্চ তিনি নিজের ফেসবুকে ত্রিপোলী থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, গৃহযুদ্ধ কবলিত দেশটিতে প্রবেশ ছিল রীতিমতো বেশ চ্যালেঞ্জের। লন্ডনে যাওয়ার আগেই বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঢাকা থেকে ভিসা সংগ্রহ করেন। অবশ্য লন্ডন থেকে জাহিদুর রহমানের একাধিক রিপোর্ট এনটিভিতে প্রচার হয়েছে।
সাংবাদিক জাহিদ ও প্রকৌশলী সাইফুলের নিখোঁজের বিষয়ে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান জানিয়েছেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম সরকারের কোনো সংস্থা তাকে ধরে নিয়ে গেছে। তবে এখন মনে হচ্ছে তাকে কোনো মিলিশিয়ারা ধরে নিয়ে গেছে। ২৩ মার্চ কোনো জায়গা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটি আমরা জানতে পেরেছি। আমরা ধারণা করছি সাংবাদিক জাহিদুর রহমান নানা জায়গায় ছবি তুলছিলেন। এটি একটি বড় কারণ। আমি জাহিদুর রহমানকে আগে থেকে চিনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন’।
প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের একসঙ্গেই ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে, ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি গাড়িচালক তার পরিবারকে ফোন করেছিলেন। তাদের সম্ভবত আলাদা করে রাখা হয়েছে। তাদের উদ্ধারের জন্য আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
খুলনা গেজেট/ টি আই