লিবিয়ার একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেখানে অন্তত ৬৫ জন অভিবাসীর মরদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে মৃত এসব অভিবাসীরা ঠিক কোন দেশের নাগরিক তা জানা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি কোন পরিস্থিতিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে সেটিও স্পষ্ট নয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, লিবিয়ায় অন্তত ৬৫ অভিবাসীর মৃতদেহ সম্বলিত একটি গণকবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)।
আইওএম বলেছে, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে এসব অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের জাতীয়তা কী তা এখনও অজানা। তবে তাদের বিশ্বাস, মরুভূমির মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরের দিকে পাচার হওয়ার সময় এসব অভিবাসী মারা গেছেন। অভিবাসীদের গণকবর আবিষ্কারের ঘটনায় তারা ‘গভীরভাবে হতবাক’ হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
গণকবরটি দক্ষিণ-পশ্চিম লিবিয়ায় পাওয়া গেছে। এখন ঘটনাটি লিবিয়া তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে আইওএম। সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘অভিবাসীদের নিখোঁজ বা প্রাণহানির প্রতিটি খবরই এক-একটি শোকার্ত পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করে। ওইসব পরিবার তাদের প্রিয়জনদের সম্পর্কে উত্তর খুঁজছেন বা বিপর্যয়কর অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ক্রমবর্ধমান এই মৃত্যু এবং অভিবাসীরা যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে, এটি অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের কারণেই হচ্ছে।’ সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ এই ট্র্যাজেডিটি অভিবাসীদের চোরাচালান এবং বৈধ অভিবাসন জন্য সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
বিবিসি বলছে, লিবিয়ার উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করা কমপক্ষে ৬০ জন অভিবাসী রাবারের ডিঙ্গি নৌকায় ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দেয়ার সময় মারা যাওয়ার পরে গণকবর আবিষ্কারের এই বিষয়টি সামনে এলো। এর আগে আইওএম এই মাসের শুরুতে বলেছিল, এক দশক আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালটি ছিল অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক বছর। এই বছর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অভিবাসন রুটে কমপক্ষে ৮ হাজার ৫৬৫ জন মারা গেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম