পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি বাংলাদেশের জন্য কিছুটা বিরলই বলা চলে। লম্বা সময় ধরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মোটে ৬ জন। আজ সেই তালিকায় নতুন যুক্ত হলেন মুশফিকুর রহিম। হাবিবুল বাশার, জাভেদ ওমর বেলিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস এবং ইমরুল কায়েসের পর এই লিস্টে যুক্ত হলেন মুশফিক।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০০ বলে সেঞ্চুরির ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছেন মুশফিক। এরপরও দেখেশুনে খেলেছেন তিনি। ইটমধ্যেই স্পর্শ করেছেন দেড়শ রানের মাইলফলক। এখানে পৌঁছাতে ২৮৬ বল খেলেছেন।
দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ২য় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান এখন মুশফিক। রাওয়ালপিন্ডিতে করা এই সেঞ্চুরি মুশফিকের জন্য ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের হয়ে এরচে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল মুমিনুল হকের। সাবেক টেস্ট অধিনায়কের সেঞ্চুরি ১২টি। অবশ্য গেল তিন বছরের পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসেও মুশফিক কতটা অনবদ্য৷
টেস্ট ক্রিকেটটা যেন এই বয়সে এসেও বেশ উপভোগই করছেন মুশফিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫০০০ রানের মাইলফলক থেকে ৩২ রান দূরে থাকতে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন মুশফিক। কাল শেষ সেশনে ফিফটি পূরণের পথে সেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সেই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তামিম ইকবাল আগেই আছেন এই লিস্টে। তার রান ১৫ হাজার ১৯২। ১৫০ করার পর তামিমের আরও অনেকটাই কাছে আছেন মুশি।
টেস্টে ক্যারিয়ারে মুশফিকের ব্যাটিং গড় ৩৮.৭৭ হলেও ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তা হয়েছে ৪৭.০৩। এই তিন বছরে টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। করেছেন ১ হাজার ৩৩৪ রান। এই ইনিংস খেলার পর সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে নিশ্চিতভাবেই। এই সময়ে তার চেয়ে বেশি রান কেবল লিটনের।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৬৮ রান। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের লিড এখন ২০ রানের।
খুলনা গেজেট/এএজে