নির্ভরযোগ্য ওপেনার তামিম ইকবালকে ছাড়া বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল। হাঁটুর চোটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে খেলা হচ্ছে না তার। সুযোগ এসেছিল সাদমান ইসলামের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হতাশাজনক সিরিজের পর তার সঙ্গে একাদশে ফেরেন সাকিব আল হাসান। দুজনের কেউই প্রত্যাবর্তনটা রাঙাতে পারেননি। একই চিত্র পুরো টপ অর্ডারের, কেবল উপরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুমিনুল হকের ব্যাট হেসেছিল। প্রথম দিনের শুরুটা হয় অনিশ্চয়তায়, আর শেষ হয় ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পে। যদিও আক্ষেপ থেকে গেছে লিটন দাসের।
নির্ধারিত সময়ের আগেই আলোর স্বল্পতায় প্রথম দিনের শেষ ঘোষণা করেছেন আম্পায়াররা। দিনটা যে অস্বস্তিতে শুরু হয়েছিল, তা ছাপিয়ে স্বস্তিতে শেষ হয়েছে। ১৬ মাস পর টেস্টে ফেরা মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরিতে তিনশ পেরোনোর পরিকল্পনা নিয়ে নতুন দিন শুরু করবে বাংলাদেশ। ৫৪ রানে অপরাজিত তিনি, তার সঙ্গে ১৩ রানে খেলছেন তাসকিন আহমেদ। ৮ উইকেটে ২৯৪ রান বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই হতাশ করেন। সাইফ হাসান ডাক মারেন, নাজমুল হোসেন শান্ত ২ রানে ফিরে যান সাজঘরে। সাদমানকে ২৩ রানে ফিরিয়ে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নেয় জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় সেশনেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। তিন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মুমিনুলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চেপে ধরেছিল জিম্বাবুয়ে। মুশফিক মাত্র ১১ রান করে মুজারাবানির এলবিডাব্লিউ হন। সাকিব মাত্র ৫ বল টিকে ছিলেন, করেন ৩ রান। দায়িত্ব নিতে পারেননি মুমিনুল। যদিও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার ব্যাট হেসেছে। ৯২ বলে ১৩ চারে ৭০ রান করেন তিনি। ১৩২ রানে তাদের ৬ উইকেট তুলে নিয়ে যখন জিম্বাবুয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন সফরকারীরা ঘুরে দাঁড়ায় লিটন ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে।
ক্যারিয়ারের নবম ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফটিকে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে নিয়ে যান লিটন। কিন্তু তারপরই আউট। আগের ক্যারিয়ার সেরা ৯৪ রান ছাপানোর পরই আউট হন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে দলকে রাখেন স্বস্তিতে। ১৪৭ বলে ১৩ চারে ৯৫ রান করেন লিটন। পরের বলেই ডোনাল্ড তিরিপানো শূন্য রানে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজকে। ২৭০ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে তিনশর পথে রাখেন মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিন।
এই ছন্দপতনের দিনে মাহমুদউল্লাহ ও লিটনের লড়াই ছিল মনে রাখার মতো। এবার ইনিংসটা আরও লম্বা করার দায়িত্ব থাকবে মাহমুদউল্লাহর ঘাড়েই। তার সঙ্গে শেষ দুই ব্যাটসম্যান তাসকিন ও ইবাদত হোসেন কেমন অবদান রাখতে পারেন, তা দেখার অপেক্ষা।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি