উচ্চবিত্ত সমাজের রূপসী মেয়ে রোজের সঙ্গে টাইটানিক জাহাজে নিম্নবিত্ত সমাজের প্রতিভূ জ্যাকের প্রেম হয়। ৯১২ সালে টাইটানিকের পরিণতির পটভূমিতে তাদের এই ট্র্যাজেডি পরিচালক জেমস ক্যামেরন ফুটিয়ে তুলেন ‘টাইটানিক’ সিনেমায়। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমায় রোজের চরিত্র রূপায়ন করেন কেট উইন্সলেট ও জ্যাক চরিত্রে অভিনয় করেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।
তুমুল জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল এ সিনেমা যদি বাংলা ভাষায় রিমেক হয়, আর তাতে রোজ চরিত্রে অভিনয় করবেন পূর্ণিমা। কিন্তু জ্যাক চরিত্রে পূর্ণিমা কাকে চান? সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এমন প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই নায়িকা।
বাস্তবে এ সিনেমা বাংলায় রিমেক হোক আর না হোক, পূর্ণিমার জবাবের প্রশংসা করছেন তার ভক্তরা। পূর্ণিমা বলেন— লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও কে জ্যাক চরিত্রে চাই। সঞ্চালক এ সময় জানতে চান ডিক্যাপ্রিও কে ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে হবে না? কিন্তু পূর্ণিমা তার সিদ্ধান্তে অটল। তার পরিষ্কার জবাব— এতে ডিক্যাপ্রিওকেই লাগবে।
‘টাইটানিক’ সিনেমা মুক্তির বছরেই নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন পূর্ণিমা। অভিষেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই সবার নজর কাড়েন তিনি। পূর্ণিমা অভিনেত্রী হলেও তিনি নানা গুণের অধিকারী। দারুণ গান গাইতে পারেন। যা চলচ্চিত্রে আসার অনেক পরে জানতে পারেন তার ভক্তরা। এ অনুষ্ঠানে সঞ্চালক জানতে চেয়েছিলেন, নায়িকা না হলে কী হতেন? উত্তরে পূর্ণিমা বলেন— নায়িকা না হলে গায়িকা হতাম।
নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন রুপালি জগতে পা রাখেন পূর্ণিমা। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘এ জীবন তোমার আমার’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘মায়ের সম্মান’, ‘শাস্তি’, ‘শোভা’, ‘হৃদয়ের কথা’ প্রভৃতি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
খুলনা গেজেট/এনএম