মঙ্গলে কি প্রাণ ছিল? গোটা দুনিয়ার মানুষ লাল গ্রহের সেই ইতিহাস জানতে উদগ্রীব। আগে দূরের সেই লাল গ্রহ নিয়ে কল্পগল্পে অনেকেই অনেক ধারণা নিয়ে রেখেছেন। তবে বিজ্ঞান যতক্ষণ না সঠিক এবং নিরেট প্রমাণ পায় ততক্ষণ সম্ভাবনার উপরে দাঁড়িয়ে তো আর কিছু বলতে পারেনা। তাই মঙ্গলের মাটিতে পৌছানো প্রয়োজন ছিল। টেকনোলজি দিয়ে যা বিজ্ঞানীরা করে দেখিয়েছেন। এখন সেই সবথেকে আকর্ষণীয় প্রশ্নের উত্তর খোঁজার পালা ।
১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের মাটি ছোঁয় ‘পারসিভের্যান্স’। তাকে কাজ দেওয়া হয়েছে মঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে সেখান থেকে পাথর, জীবাশ্ম এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো। এই কাজটা তাকে করতে হবে ২০৩০ এর ভেতরেই। এর পর হবে সেগুলোর পর্যবেক্ষণ। তবে দায়িত্ব পাবার পর থেকেই যথেষ্ট স্মার্ট কাজ শুরু করে দিয়েছে ‘পারসিভের্যান্স’।
হাই রেজলিউশন ক্যামেরার চোখ দিয়ে একদম ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে শতাধিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ইতিমধ্যেই পাঠিয়েও দিয়েছে। আর সে ছবিগুলো নাসার দৌলতে উপভোগ করছেন সাধারণ মানুষ যারা ডিজিটালি নিজেকে আপডেট রাখেন সব সময় ।
ছবিগুলো বেশ আলোচিতও হচ্ছে। লাল গ্রহের ছবিগুলো কি নদী ব-দ্বীপের যা গ্রহানুর আঘাতে শুকিয়ে গেছে বহু বহু বছর আগে। নেটিজেনরা তা আলোচনাও করছেন । ঘরে বসে মোবাইলে মোবাইলে এখন লালগ্রহের ছবি ঘুরছে। মাটি , পাথর – প্রন্তরের আলাদা আলাদা ছবি যেনো আলাদা আলাদা রুপকথার গল্প বুনছে ।
তবে বিজ্ঞানীদের ইচ্ছে রুপকথা নয়। লালগ্রহের রহস্য বেরিয়ে আসুক। সেখানে কি ছিল জলের বা প্রাণের উৎস, নাকি সম্ভাবনা আছে বলেই খুঁজে চলেছে ‘পারসিভের্যান্স’। আপাতত ‘পারসিভের্যান্স’- এর পাঠানো ছবি মাতিয়ে রাখছে ভবিষ্যতের গ্রহে গ্রহে প্রাণ অস্তিত্বের প্রত্যাশায় প্রহর গোনা মানুষগুলোকে।
খুলনা গেজেট/কেএম