দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। খুলনায় বাড়ছে আক্রান্তের হার। বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেকর্ড সংখ্যক ১২৫ জন ডেঙ্গু চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় জোরালো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না খুলনায়। মশক নিধন কার্যক্রম চলছে পুরাতন মডেলে, নেওয়া হয়নি এডিসের লার্ভা শনাক্তের উদ্যোগ।
খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে সরকারিভাবে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার ১২৫ জন এবং জেনারেলসহ অন্য হাসপাতালে ৩৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। দুটি হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, অন্যবছর ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড চালু করা হলেও এবার তা হয়নি। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের থাকতে হচ্ছে ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায়।
কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সিটি করপোরেশনে কীটতত্ত্ববিদের কোনো পদ নেই। আর লার্ভা শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবও নেই। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সহায়তায় লার্ভা জরিপ হয়। কিন্তু কেসিসির পক্ষ থেকে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। ফলে নগরীতে কোনো এলাকায় এডিসের লার্ভা কী পরিমাণ রয়েছে-তা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই সংস্থাটির কর্মকর্তাদের। পুরাতন রুটিন ধরেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম চলছে।
অবশ্য কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান দাবি করেন, মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিনই নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে লাইট ডিজেল ও কালো তেল স্পে করে মশার লার্ভা নিধন করা হচ্ছে। বিকালে ফগার মেশিন দিয়ে বড় মশা নিধনের কাজ চলছে। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবেও বিভিণ্ন ওয়ার্ডে মশক নিধন কাজ চলছে।
তিনি বলেন, নিজের বাড়ির আঙিনা, ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করতে নগরীতে মাইকিং করা হচ্ছে। মশক নিধনের পাশাপাশি কেসিসির ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান চলছে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে জরিমানাও করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়