সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে বেরিয়ে লাইব্রেরির সামনে আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সোয়া ৫টার দিকে তারা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি টিএসসি সড়কদ্বীপ পার হয়ে শাহবাগের দিকে রওনা হয়। শাহবাগে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করবেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আজকের কর্মসূচি অনুযায়ী, কোটা বাতিলের দাবিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম আজকের কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
গতকাল বিকেলে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয় ও হামলা চালায়।
গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দুদিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার বিরতি দেওয়া হয়।
২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের পর সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে পুরো কোটাব্যবস্থা বাতিল করে। ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।
গত ৫ জুন রায় ঘোষণায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ার বাধা দূর হয়। ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটিতে পক্ষভুক্ত হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান আবেদন করেন।
এরপর গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দেন।
খুলনা গেজেট/এএজে