খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে : আইন উপদেষ্টা
  রাজধানীর হাজারীবাগে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরের মৃত্যু
দশ দিনে তিন নক্ষত্র পতনে উপমহাদেশে শোকের ছায়া

লতা-সন্ধ্যার পর এবার না ফেরার দেশে বাপ্পী লাহিড়ী

কলকাতা প্রতিনিধি

লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতে আবারো একটি নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন বলিউড ও টলিউডের বিখ্যত সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ী(৬৯)। মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বাপ্পি লাহিড়ীর এই মৃত্যুতে উপমহাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।সঙ্গীত মহল স্তব্ধ। মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে তিন তিনটি নক্ষত্র চলে গেলেন।১৯৭০-৮০ দশকে বেশ কিছু গান দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেন বাপ্পী লাহিড়ী।

গত প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সোমবারই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরদিনই (মঙ্গলবার) তার শারিরীক অবস্থা খারাপ হয়। এরপর একজন চিকিৎসককে তাকে দেখতে আসতে বলা হয়। পরে ওই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বাপ্পী লাহিড়ী একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ড. দীপক নামজোসি জানিয়েছেন, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়ার কারণে মারা গেছেন বাপ্পী লাহিড়ী।

এই ফেব্রুয়ারি মাসেই এ নিয়ে সঙ্গীতের তিন মহাতারকা হারাল ভারত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান লতা মঙ্গেশকর।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১১ জানুয়ারি লতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গত ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালেই থাকতে হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান তিনি।

আর গতকাল রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা গানের স্বর্ণালী যুগের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। জানা যায়, শৌচাগারে পড়ে গিয়ে ব্যথা পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এরপর শুরু হয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা। দুটি ফুসফুসেই সংক্রমণ ধরা পড়েছিল নন্দিত গায়িকার। চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

১৯৭০-৮০ দশকে ‘চালতে চালতে,’ ডিস্কো ড্যান্সার এবং শারাবির মতো বেশ কিছু গান দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেন বাপ্পী লাহিড়ী। বাঘি থ্রিয়ের জন্য ভানকাস গানটি ছিল বলিউডে বাপ্পী লাহিড়ীর শেষ গান।

অন্য আর সব শিল্পী ও সুরকার থেকে বাপ্পী লাহিড়ীকে সহজেই আলাদা করা যায় তার শরীরে থাকা সোনার অলংকার ও সানগ্লাসের জন্য। বলিউডে ভালোবেসে বাপ্পী লাহিড়ীকে সকলে ‘বাপ্পী দা’ বলে ডাকতেন।

গত বছরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিংবদন্তী এই সঙ্গীত শিল্পী। সে সময় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!