ইংল্যান্ডের দুর্দশা যেন থামারই নাম নিচ্ছে না। বরং বেঙ্গালুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটাই খেল তারা। ভালো শুরুর পরও একের পর এক উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে গেছে ১০০ বল বাকি থাকতেই। বেন স্টোকসের লড়াইয়ে লড়াকু স্কোরের আশা টিকে ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু লঙ্কান বোলারদের নিয়মিত ব্রেকথ্রুতে শেষমেশ ইংলিশদের পুঁজিটা ১৫৬ রানের বেশি হয়নি।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ইংল্যান্ডের শুরু যে ইঙ্গিত দিয়েছে, তার ছিটেফোঁটাও ঘটেনি। মাদুশাঙ্কা ও রাজিথা ড্রাইভ লেংথে দিয়ে বাউন্ডারির সুযোগ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে বাইরে পেলেই চড়াও হয়েছেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। ৬ ওভারেই ৪৫ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড।
এরপর মাথিশা পাথিরানার চোটে সুযোগ পাওয়া এঞ্জেলো ম্যাথিউজ এসে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। মালান কিপারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৬ চারে ২৫ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে। বেয়ারস্টো-রুটের ব্যাটে ইংল্যান্ড এগিয়ে যাবে, কিন্তু ধাক্কা খেয়ে যায় ইংলিশরা জো রুট রানআউট হয়ে গেলে। ভুল বোঝাবুঝিতে এক অঙ্কেই ফিরে যান রুট। ৫৭ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারানো ইংল্যান্ড কী তখনও জানত, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে পাহাড়সম ধাক্কা!
বেয়ারস্টো ইনিংসের প্রথম বলেই দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে এলবিডাব্লিউ ছিলেন। শ্রীলঙ্কা রিভিউ নেয়নি বলে বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংসটা ৩০ রানের বড় করতে পারেননি। ৩১ বলে ৩০ রান করে রাজিথার বলে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বেয়ারস্টো। ৬ বলে ৮ রান এনে জস বাটলার কিপারে ক্যাচ দিয়ে চলে যান কিছুক্ষণ পরই। বাটলার যেতে না যেতেই লিয়াম লিভিংস্টোনেরও একই হাল! একাদশে ফেরা লিভিংস্টোনকে এলবিডাব্লিউ বানিয়ে ১ রানেই ফিরিয়ে দেন লাহিরু কুমারা। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
খাদের কিনারা থেকে তোলার জন্য তাদের ভরসা ও উপযুক্ত যে লোক, বেন স্টোকস তখনও একপাশে দাঁড়িয়ে! মঈন আলীর সঙ্গ পেয়ে কিছুক্ষণ দেখেশুনে খেলে ধাক্কা সামলান তারা। স্টোকস সুযোগ বুঝে নিজের জায়গা মতো বল পেলেই আক্রমণাত্মক হয়েছেন। এভাবে মাদুশাঙ্কা-ধনাঞ্জয়াদের বলে কয়েকটি চার বের করেন। কিন্তু ওদিকে মঈন আলীর সঙ্গ হারিয়ে ফেলেন দলের রান ১২৫ হতে না হতেই!
আবারও ম্যাথিউজের শিকার। পয়েন্টের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মঈন ফিরে যান ১৫ রান করেই। তার ফেরার কিছুক্ষণ পর ক্রিস ওকসেরও গন্তব্য হয়ে যায় ড্রেসিং রুম। রাজিথার বলে পয়েন্টে নিচু হয়ে আসা ক্যাচ দুর্দান্তভাবে লুফে নেন সাদিরা সামারাবিক্রমা, রিপ্লে দেখে আম্পায়ার জানিয়ে দেন আউট।
একা স্টোকসের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে যেতে বেশিক্ষণ লাগেনি। ৭৩ বলে ৬ চারে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে যখন ফিরছেন, ইংল্যান্ডের ১৩৭ রানে নেই আট উইকেট। আদিল রশিদ ও মার্ক উডরাও এক অঙ্কেই ফিরে গেছেন। একপাশে অপরাজিত থাকা ডেভিড উইলি করেন ১৪ রান। ১৫৬ রানেই অলআউট হয়ে গেলে ইংল্যান্ডের লড়াইয়ের পুঁজিও হাতে আসেনি।
খুলনা গেজেট/এমএম