বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে মোংলা-চট্রগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। এ লঘুচাপের প্রভাবে বুধবারও সুন্দরবন উপকুলীয় অঞ্চলে থেমে থেমে হালকা-মাঝারি বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে সুন্দরবন অঞ্চলের নদ-নদীর পানি। এতে নদী ভাঙ্গনের পাশাপাশি মোংলার পশুর নদীর তীরবর্তী জয়মনির ঘোল, চিলা, কানাইনগরসহ আশপাশের অন্তত ৫টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে মোংলা পৌর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ কোথায়ও কোথায়ও পুকুর ডোবানালাসহ চিংড়ি মাছের ঘের তলিয়ে ভেসে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এ দিকে বৈরি আবহাওয়ার জন্য বন্দরের বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস বোঝাই কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বন্দর চ্যানেল ও বহিঃনোঙ্গরে সার-ক্লিংকার ও সিরামিক এবং মেশিনারীজ পন্যসহ ১০ টি বিদেশী জাহাজ অবস্থান করছে বলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তার বুলেটিনে জানানো হয়েছে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকুলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ দিকে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় সমুদ্রগামী জেলেরা সুন্দরবনের নদী-খালসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকা সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকুলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সমুদ্রে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম