লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আলী আকবর হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম আজ বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন মামলার রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘আসামিদের মধ্যে ছয় জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।’
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন মো. জসিম, সফিকুর রহমান, রুবেল হোসেন, নূর মিয়া ব্যাপারী ও তৌহিদুর রহমান।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন মো. জুয়েল, মোক্তার হোসেন ও রাহেলা বেগম। এর মধ্যে জুয়েল ও মোক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এ ছাড়া আসামি ওসমান কবিরাজ, উম্মে হাবিবা সুমাইয়াসহ তিন জন খালাস পেয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট গ্রামে কৃষক আলী আকবরদের সঙ্গে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ওই জমি থেকে নুরুল ইসলামের পরিবার ডাব পাড়তে যায়। এতে আলী আকবরের পরিবার বাধা দেয়। একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মো. জসিমসহ আসামিরা আলী আকবরকে কুপিয়ে জখম করেন। এরপর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে তাঁকে নোয়াখালী নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে নোয়াখালী নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান আলী আকবর।
পরে আলী আকবরের ছেলে তহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ মো. জসিমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তিন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল ১১ আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মঞ্চুর জিলানী বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
খুলনা গেজেট/এনএম