খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে : আইন উপদেষ্টা
  রাজধানীর হাজারীবাগে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরের মৃত্যু

লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ

গেজেট ডেস্ক

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও এক সপ্তাহের জন্য ‘কঠোর লকডাউনের’ সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। রোববার রাতে কমিটির এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সুপারিশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

সারাদেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে চলমান এক সপ্তাহের লকডাউন শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। এছাড়া ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরির রাখার পরামর্শও দিয়েছে কমিটি। সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে। ২১ এপ্রিল তা শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই কমিটি এই পরামর্শ দিল।

এদিকে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে সভা হওয়ার কথা। সেখানে পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হবে কি না সেটা ঠিক হওয়ার কথা ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ তীব্র হয়।

সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের ‘লকডাউন’ শুরু হয়। তবে তার ধারাবাহিকতা চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।

এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফয় কঠোর লকডাউন দেয় সরকার, যা চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লক ডাউন ঘোষণা করায় কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করে।

সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়, ‘বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।

লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরী সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে।

‘অন্যথায় বিরূপ পরিস্থিতির আশংকা রয়েছে। চলমান লকডাউনে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।’

কাঁচা বাজার আবারও উন্মুক্ত স্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!