দিনের শুরুতেই ছিল বৃষ্টিভেজা সকাল। ক্রেতা না আসলেও উত্তরবঙ্গ থেকে আমের গাড়ি যথারীতি পৌছাচ্ছে। ২০ ট্রাকে আজ ২ লাখ কেজি আম কদমতলার পাইকারি মোকামে এসেছে। মাত্র ২ ঘন্টাকাল বেচাকেনা হলেও দিনভর পাইকারি বিক্রেতারা অলস সময় পার করেন। কাঁচা পাকা ফলের আড়তে ধরাশায়ী অবস্থা। একদিন বেকারত্বে ফলের আড়তে ১৬শ’ শ্রমিকের বাজারের পয়সা হয়নি।
দিনের শুরুতেই ছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টি। থেমে থেমে ঘন্টা দুয়েক চলে বৃষ্টি। বলা চলে সকাল থেকে বেলা ১০ টা অবধি পথচারি চলাচল ছিল না, ক্রেতা ছিল না পাইকারি আড়তে। সকাল থেকেই বিকেল চারটা পর্যন্ত আড়তের দুয়ার খোলা থাকলেও কোন তৎপরতা ছিল না।
মোহাম্মাদিয়া ভান্ডারের ম্যানেজার বকুল রায় জানান, রাজশাহী থেকে আজ ল্যাংড়া, গুটি, লখ্না ও হিমসাগর জাতের আম এসেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি আড়তে কেজি প্রতি ৫ টাকা দাম কমেছে। রুপালী আম প্রতি কেজি ৪৫ টাকার স্থলে ২৫-৪০ টাকা দরে, হিমসাগর ৪৫ টাকার স্থলে ৪০ টাকা, ল্যাংড়া ৬০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা, লক্না ৩০ টাকার স্থলে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। দিনভর ২ মনের বেশি এ আড়তে আম বিক্রি হয়নি। বেলা দুটোর পর থেকে কোন খরিদ্দার আসেনি।
তন্ময় ট্রেডার্সের মালিক জাহিদুল ইসলাম জানান, চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, যশোর ও কুষ্টিয়ার জীবননগর থেকে আজ ২০ ট্রাক আম এসেছে। ক্রেতা না থাকায় শ্রমিকরা ট্রাক থেকে আম নামায় নি।
তিনি জানান, আজ গুটি ও রুপালী জাতের আম প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে তার পরিমাণ অনেক কম। মফস্বল থেকে কোন ক্রেতা আসেনি। স্থানীয় ভ্যান গাড়ির ফেরিওয়ালারা অল্প স্বল্প আম কিনছে। যে পরিমাণ আমের মজুদ আছে সে পরিমাণ ক্রেতা নেই। ফলে আগামীকাল নাগাদ পচন ধরতে পারে।
শামীম বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক জানান, আজ দিনভর ৮০ কেজি ল্যাংড়া, রুপালী ও গুটি জাতের আম বিক্রি হয়েছে। আজই প্রথম ফজলি জাতের আম আসলেও এর কোন চাহিদা ছিল না। উত্তর বঙ্গ থেকে ব্যবসায়ীরা ট্রাক যোগে আম পাঠাচ্ছে। কিন্তু তাদের নগদ টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের অবহিত করা হয়েছে।
এ সূত্র জানায়, কাঁচাপাকা ফলের আড়তে ১৬শ’ শ্রমিকের আজ দিনভর কাজ ছিল না বললেই চলে। ব্যবসায়ীরাও অলস সময় কাটিয়েছেন।
কেডি ঘোষ রোডে ভ্যানের ফেরিওয়ালা আজমল হোসেন জানান, ক্রেতা কম থাকলেও খুচরা বাজারে মূল্যের তারতম্য ঘটেনি। প্রতি কেজি ল্যাংড়া ৫০ টাকা এবং হিমসাগর ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপর ফেরিওয়ালা জানান, দিনভর তার কোন বেচাকেনা হয়নি। তাছাড়া পুলিশের টহল দল মোড়ে মোড়ে ফেরিওয়ালাদের অবস্থান করতে দিচ্ছে না।
খুলনা গেজেট/ এস আই