ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি’র মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে প্রতি ১২ কেজি মূসকসহ গ্যাসের মূল্য ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও সরেজমিনে গিয়ে মিলছে ভিন্ন চিত্র। নগরীর সোনাডাঙ্গা, গল্লামারী, ময়লাপোতা মোড়ের দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি ১২ কেজি মূসকসহ গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকা পর্যন্ত।
নগরীর সোনাডাঙ্গা হাজী তমিজ উদ্দিন সড়কের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। কত দাম দিয়ে কিনেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৯৯০ টাকা দিয়ে কিনলাম। তিনি আরও বলেন, “মূল্য নির্ধারণ করা থাকলেও দোকানদার লকডাউনের দোহাই দিয়ে দাম বেশি রাখছে। রোজা থেকে দোকানদারদের সাথে বেশি কথা বাড়াতেও মন চায় না। এই পরিস্থিতিতে সবাই যদি দাম বেশি রাখে আমরা সাধারণ মানুষ আমরা যাবো কই!”
ইকবালনগর এলাকার অধিবাসী সানজিদা পারভীন বলেন, “কে মানে কার কথা, দাম নির্ধারিত করা থাকলেও বেশি দামে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। বাসা পর্যন্ত নিতে আরও খরচ রয়েছে। রান্নার মাঝে গ্যাস শেষ হলে বিপদে পড়তে হবে, তাই বেশি দাম দিয়েই নিতে হলো।”
এদিকে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা মেহেদী ট্রেডার্সের মালিকের কাছে দাম বেশি রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “লকডাউনের জন্য কাস্টমার কম, বেঁচাকেনাও তেমন নাই। এজন্য দুই পাঁচ টাকা বলে কয়ে বেশি রাখছি আরকি।” গল্লামারী মোড়ের সাগর ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারীর কাছে বেশি দাম রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
তবে সরেজমিনে কয়েকটি দোকানে দেখা যায়, যারা বিইআরসি’র নির্ধারিত মূল্যে গ্যাস বিক্রি করছে। আবার এক দোকানে যে গ্যাস ৯৮০ টাকা, অন্য দোকানে তা এক হাজার টাকা। অর্থাৎ এখনো বিক্রেতাদের ইচ্ছামতোই চলছে এ সেক্টর।
প্রসঙ্গত, এতোদিন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের এলপিজি’র দাম নির্ধারণ করত কোম্পানিগুলো নিজেরাই। তবে ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর চেয়্যারম্যান মো: আবদুল জলিল সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন। নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে কেউ বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি