হার দিয়েই শুরু হয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই’র (পিএসজি) নতুন মৌসুম। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা ১-০ গোলে হেরেছে লঁসের মাঠে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় পিএসজির স্কোয়াডে ছিলেন না নেইমার-কিলিয়ান এমবাপ্পে-আনহেল দি মারিয়ারা। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলা ফরাসি জায়ান্টরা মাঠে নামে তাদের নিয়মিত সাত মুখকে ছাড়াই।
১৮ দিন আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলা পিএসজি একাদশের মাত্র ৫ জন খেলোয়াড় শুরু করেছিলেন লঁসের বিপক্ষে। একসঙ্গে ৭ জন খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এই ম্যাচ আয়োজন নিয়েও সংশয় ছিল। তবে লঁসের মাঠে শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে হয়েছে ম্যাচ, আর তাতে ঘরের দল পেয়েছে স্মরণীয় এক জয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে, তুখলের তৃতীয় পছন্দের গোলরক্ষক মারচিন বুলকা বল উপহার দিয়েছিলেন ইগ্নাসিয়াস গানাগোকে। পরে তিনিই গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ওই গোলেই পরে নির্ধারিত হয়েছে ম্যাচের ফল।
নেইমার-এমবাপেদের মতো করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাসও। দ্বিতীয় পছন্দের গোলরক্ষক সার্জিও রিকো অবশ্য সুস্থ্য ছিলেন। কিন্তু পিএসজির লঁসের বিপক্ষে এই ম্যাচ খেলার কথা ছিল আগস্টের ২২ তারিখে। চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলা থাকায় লঁসের বিপক্ষে পিএসজির ম্যাচের সময়সূচী পরিবর্তন করে আনা হয়। পরে পিএসজির অনুরোধে আরও দশদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় ম্যাচ। এর ভেতর ধারে খেলতে থাকা রিকোর সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ সেভিয়া থেকে পাকাপাকিভাবে প্যারিসের ক্লাবে যোগ দেন রিকো । মূল ফিক্সচারের সময় রিকো পিএসজির খেলোয়াড় ছিলেন না বলেই এই ম্যাচের স্কোয়াডে তাকে রাখতে পারেননি তুখোল।
খুলনা গেজেট/এএমআর