ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র,মদ, বিয়ার ও ওয়াকিটকিসহ বিপুল পরিমান নিরাপত্তা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব।
রাজধানীর চকবাজারে অবস্থিত একই বাসায় হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের রুম থেকে থেকে উদ্ধার করা মদ ও বিয়ার। রাজধানীর চকবাজারে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওর্য়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বাসা থেকে বিপুল দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ছাড়া বাসা থেকে গুলিভর্তি একটি পিস্তল ও বেশ কিছু ওয়াকি টকি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে থাকা র্যাব-১০-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র, বিপুল দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই অস্ত্র বৈধ নাকি অবৈধ তা যাচাই করা হচ্ছে। এখনো অভিযান চলছে।’
র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেত্বত্বে ও র্যাব-১০-এর সহযোগিতায় বিপুল র্যাব সদস্য হাজি সেলিমের ছেলের বাসায় অভিযান চালাচ্ছেন। দুপুর ১২টার পর থেকে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযান এখনো চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
অভিযানের সময় সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী মো. জাহিদকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বিকেলে চকবাজারে ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’তে অভিযানকালে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘কাউন্সিলর ও নোয়াখালীর একজন সংসদ সদস্যের মেয়ের জামাই ইরফান সেলিম এবং তাঁর দেহরক্ষী জাহিদকে র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
তখন অভিযানে থাকা র্যাব-১০-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘অভিযানের শুরুতে দুজনকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারীর (নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ) অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের কাছ থেকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ